ভারতে তাণ্ডব করবে ১০ হাজার আত্মঘাতী যোদ্ধা, পাকিস্তান থেকে মাসুদ আজাহারের হমকি

অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে জঙ্গি নেতা মাসুদ আজাহারের পরিবার তছনছ করেছে ভারত। নিরাপদ স্থান পাকিস্তানের মাটিতে এমন ঘটবে সেটা ভাবতে পারেনি জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের প্রধান। এবার তার…

Jaish-e-Mohammed Chief Masood Azhar Boasts of 10,000 Fidayeens Ready for Jihad in Pakistan Mosque Audio

অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে জঙ্গি নেতা মাসুদ আজাহারের পরিবার তছনছ করেছে ভারত। নিরাপদ স্থান পাকিস্তানের মাটিতে এমন ঘটবে সেটা ভাবতে পারেনি জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের প্রধান। এবার তার হুমকি ভারতে তাণ্ডবলীলা হবে (Fidayeens Ready for Jihad) ।

মাসুদ আজাহার মুম্বই হামলার মোস্ট ওয়ান্টেড। তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো। তাঁর মা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও পিতা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।

   

জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার একটি অডিও ক্লিপে দাবি করে জইশ জঙ্গি সংগঠনের ১০,০০০ ‘ফিদায়িন’ (আত্মঘাতী যোদ্ধা) জিহাদের জন্য প্রস্তুত আছে।এই অডিওটি পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের একটি মসজিদ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

THE WEEK জানাচ্ছে, ২০১৯ সালের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি আজহারকে। সে বর্তমানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সুরক্ষায় একটি ‘সেফ হাউসে’ লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান।

অডিওতে মাসুদ আজহারকে বলতে শোনা যায়: “মুজাহিদদের দেওয়া অর্থ জিহাদের জন্যই ব্যবহার হবে। পাকিস্তান যেমন বড় বড় ধর্মীয় নেতাদের দোয়া চায়, তেমনি মুজাহিদদের দোয়াও দরকার।”

মাসুদ আজাহারের হুমকি “জইশের কাছে এমন ফিদায়িন আছে, যাদের কোনো বাহিনী বা ক্ষেপণাস্ত্রও আটকাতে পারবে না… আমাদের ১০ হাজার ফিদায়িন জিহাদের জন্য প্রস্তুত।” আজহারের দাবি, জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের মোট সদস্য সংখ্যা এখন ৩০ হাজার।

Advertisements

পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত এই জঙ্গি পাকিস্তানে আছে কিনা এমন প্রসঙ্গে বলেছেনপাকিস্তান সরকার এখনো মাসুদ আজহারকে “সনাক্ত বা গ্রেফতার” করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, “ভারত যদি প্রমাণ দিতে পারে যে তিনি পাকিস্তানে আছেন, তাহলে আমরা তাকে খুশি মনেই গ্রেফতার করব।”

উল্লেখ্য, মাসুদ আজহার ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা (২৬/১১)-র মাস্টারমাইন্ড। এছাড়াও ২০০১ সালের সংসদ ভবন হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তিনি সরাসরি জড়িত।

ভারত বহুদিন ধরেই মাসুদ আজহার এবং লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সাঈদকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ইসলামাবাদ বারবার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের গণহত্যার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পড়শি দেশে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। চলতি বছরের মে মাসে মাসুদ আজহার স্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশনে বাহাওয়ালপুরে জইশ সদর দপ্তর ধ্বংস হওয়ার সময় তার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে তার বড় বোন ও ভগ্নিপতি, এক ভাইপো ও তার স্ত্রী, এক ভাগ্নি এবং আরও পাঁচ শিশু।