তেহরান এবং জেরুজালেমের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) আজ এক বড় ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে “সুনির্দিষ্ট ও যৌথ প্রতিরোধমূলক সামরিক অভিযান” শুরু করেছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন রাইজিং লায়ন” (Operation Rising Lion)।
Read Hindi: इज़राइल का ईरान के परमाणु ठिकानों पर हमला, तनाव बढ़ा
IDF তাদের এক্স (X) হ্যান্ডেলে জানায়, “আজ ভোরে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স একটি প্রতিরোধমূলক, সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত হামলা চালিয়েছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির উপর। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ডজন ডজন যুদ্ধবিমান এই অভিযানের প্রথম পর্যায় সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।”
হামলার লক্ষ্য ছিল—ইরানের সামরিক স্থাপনা, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং বিপজ্জনক অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র।
IDF জানায়, “ইরান এখন পরমাণু অস্ত্র অর্জনের একেবারে দ্বারপ্রান্তে। এই ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র একটি বিপজ্জনক হুমকি কেবল ইসরায়েলের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যও।”
নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। তাই এই অভিযান চালানো ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না। যতদিন পর্যন্ত এই হুমকি পুরোপুরি নির্মূল না হয়, ততদিন পর্যন্ত ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ চলবে।”
এই অভিযানের পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।
ইরানের প্রতিক্রিয়া ও ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক শীর্ষ নেতার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এই খবর এখনো সরকারিভাবে নিশ্চিত হয়নি, তবু তেহরানে ব্যাপক শোক এবং ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘসহ একাধিক দেশ দুই পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংঘর্ষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে তা বিশ্ব রাজনীতিতে এবং তেল বাজারে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।