দুবাই, ২৯ সেপ্টেম্বর: ইরান সোমবার ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে (Middle East News)। যা তেহরানের (Tehran) দশকের সবচেয়ে বড় ফাঁসির সর্বশেষ ঘটনা। ইরানের বিচার বিভাগের অফিসিয়াল সংবাদমাধ্যম মিজান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ফাঁসির আসামির নাম বাহমান চুবিয়াসল। তার মামলা ইরানীয় মিডিয়া বা মৃত্যুদণ্ড পর্যবেক্ষণকারী অ্যাকটিভিস্টদের কাছে আগে পরিচিত ছিল না।
মিজানের মতে, চুবিয়াসল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং ‘সংবেদনশীল টেলিকমিউনিকেশন প্রকল্পে’ কাজ করার সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস আমদানির পথ সম্পর্কে তথ্য সরিয়ে দিয়েছিলেন। বিচার বিভাগের মতে, তিনি ‘ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুপ্তচরদের একজন’ ছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় এবং সোমবার সকালে তা কার্যকর করা হয়েছে। ইরানীয় কর্তৃপক্ষ এই ফাঁসিকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে একটি ‘শক্তিশালী বার্তা’ বলে অভিহিত করেছে।
এই ফাঁসি ইরানের জুন মাসের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে নয়জন ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফাঁসির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। জুন ১৩ তারিখে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং পরিকাঠামোর উপর আকস্মিক বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধ শুরু করে, যাতে প্রায় ১,১০০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে অনেক সামরিক কমান্ডার ছিলেন।
ইরান প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই যুদ্ধ ২৪ জুন পর্যন্ত চলে। পরে অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে পড়েছে, পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। ইরানের পক্ষ থেকে প্রায় ৪৩০ জন নিহত এবং ৩,৫০০ আহত হয়েছে, যখন ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছে।
অপহরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার, ৪৫ হাজারে বিক্রি হওয়া শিশু ফিরল মায়ের কোলে
চলতি মাসের প্রথমেই ইরান বাবাক শাহবাজিকে ফাঁসি দিয়েছে। যিনি ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। অ্যাকটিভিস্টরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, শাহবাজিকে অত্যাচার করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কির কাছে কিয়েভের পক্ষে লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ধরনের ফাঁসিগুলো ইরানের রাজনৈতিক দমনের অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে।