কুড়ি দিন আগে ইজরায়েলে রকেট হামলা ও গণহত্যা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাস। জন্ম নেবার পর এত বড় মাপের হামলা মুখোমুখি হয়নি ইজরায়েল। সেই হামলার বদলা নিতে প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। গত ৭ অক্টোবর থেকে নতুন করে সংঘর্ষে নিহত সাত হাজারের বেশি। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ঢুকেছে ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক বাহিনী।
গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার হাসান আল আবদুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইজরায়েলি গোলাবর্ষণে হামাসের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল। পাশাপাশি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসে বেশ কয়েকটি গুপ্তস্থান ।
বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি বিমান বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের কমান্ডার হাসান আল-আবদুল্লার মৃত্যু হয়েছে। তিনি হামাসের উত্তর খান ইউনিস রকেট বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গোয়েন্দাসূত্রে খবর পেয়েই এই হামলা চালায় ইজরায়েলের বিমান বাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯১৩ শিশুসহ ৭ হাজার ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।উভয়পক্ষের প্রায় ৭০০০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে ইজরায়েল গাজায় স্থলপথে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে অভিযানের সময় বা অন্যান্য বিবরণ তিনি প্রকাশ করেননি।তিনি গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ইজরায়েলের ইতিহাসে ‘কালা দিবস’ বলে উল্লেখ করেন। এই যুদ্ধকে ইজরায়েলের অস্তিত্বের লড়াই বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্য়দিকে, বাইডেন প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে সাময়িক বিরতির আর্জি জানানো হয়েছে। গাজায় যাতে আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো যায়, তার জন্য দুই পক্ষই যেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করে, তার আবেদন জানানো হয়।