তেল আভিভ: ফের গাজায় (Gaza) গণহত্যা শুরু হতে চলেছে? বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের হুঁশিয়ারির পর এমনটাই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধ্বংসস্রুপের নীচে চাপা পড়ে থাকা বন্দীদের মুক্তি দিতে বিশেষ যন্ত্র লাগবে, নয়ত বাকি বন্দীদের মৃতদেহ ফেরাতে পারবে না বলেছে হামাস।
এই ঘোষণার পরেই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর তরফে হুমকি আসে। কাটজের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যদি হামাস তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইজরায়েল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে – “হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় অর্জন এবং গাজার বাস্তবতা পরিবর্তনের জন্য” পুনরায় যুদ্ধ শুরু করবে।
বস্তুত, ট্রাম্পের নড়বরে যুদ্ধ বিরতিতে বন্দীদের দেহ ফেরান এক অন্যতম সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইজরায়েলি কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিং – যা মানবিক সাহায্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট – পূর্বের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার খোলা হবে না।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডে “মানবিক সাহায্য রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যাবে না” তবে অন্যান্য পয়েন্ট দিয়ে গাজায় সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। বলা বাহুল্য, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরঞ্জামের ঘাটতির কথা বলেছে হামাস
হামাসের সামরিক শাখা, ইজ্জ আল-দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডস বলেছে যে তারা সমস্ত জীবিত বন্দীকে এবং যতটা সম্ভব মৃত বন্দীদের দেহাবশেষ হস্তান্তর করে চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছে। পাশাপাশি যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলি উদ্ধারের জন্য “বিশেষ সরঞ্জাম” প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে হামাস।
হামাসের সমস্যা মানছে আমেরিকা
হামাসের দিক থেকে সমস্যার কথা মানছে আমেরিকা। এক বরিষ্ঠ মার্কিন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন যে মৃতদেহ উদ্ধার করা “অবিশ্বাস্যরকম কঠিন কারণ গাজা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে”। তিনি আরও বলেন, মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য স্থানীয়দের পুরস্কৃত করার ঘোষণাও করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, ইজরায়েলকে ৩৬০ জন প্যালেস্তানিয়র মৃতদেহও ফেরত দিতে হবে। গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হস্তান্তর করা ৯০টি মৃতদেহের মধ্যে অনেকের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।