ইজরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হানাদার আকস্মিক হামলা চালানোর পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও ইজরায়েলি সেনা ও হামাসের মধ্যে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টাতেই ১০০০-এর বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর।আহতের সংখ্যাও কয়েক হাজার। হামাসের হামলায় বিপর্যস্ত ইজরায়েলের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে গাজা ভূখণ্ডে শুরু করেছে আক্রমণ।
শনিবার সকালে প্যাালেস্টাইনপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইজরায়েলের তরফে শনি-রবি মিলিয়ে ৬০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় ৩৭০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ এ পৌঁছেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইজরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের যোদ্ধারা এখনও প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।
শনিবার সকালে হামাস গোষ্ঠী ইজরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। হামাসের এই হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এর জন্য হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে। ভারত সহ অনেক দেশ এই কঠিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছে।
ইজরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা দেশের দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদ ৪০ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৫০ বছর আগে ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের সময় শেষবার এই অনুচ্ছেদ জারি করা হয়েছিল। এবার হামাসের হামলার মোকাবিলায় এই অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করা হল।এই অনুচ্ছেদ জারি করার অর্থ, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। অনুচ্ছেদ ৪০, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপ করার অনুমতি দেয়।