মোসাদের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার কী? এর শক্তি জানুন

Israel-Iran Conflict: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ এখন নতুন মোড় নিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করেছে যে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তাদের মাটির ভেতর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং…

Spike Missile

Israel-Iran Conflict: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ এখন নতুন মোড় নিচ্ছে। ইরান অভিযোগ করেছে যে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তাদের মাটির ভেতর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা ইরানের বায়ু নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দাবিটি এমন এক সময় সামনে এসেছে যখন ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ চলছে। এই পুরো ঘটনায় ইজরায়েলের ‘স্পাইক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র কী এবং কীভাবে এটি ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নির্ভুলভাবে ধ্বংস করে আক্রমণ করেছে।

মোসাদের সুনির্দিষ্ট আক্রমণ
ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। এর আসল লক্ষ্য হল ইরানের পারমাণবিক ও দূরপাল্লার অস্ত্র ক্ষমতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা। ইতিমধ্যে, ইরানি সংবাদমাধ্যম রাফায়েল স্পাইক প্রিসিশন-গাইডেড মিসাইল সিস্টেমের কিছু নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। ইরান দাবি করেছে যে এই মিসাইলগুলি ইজরায়েলের অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। এগুলি স্পাইক মিসাইলের সাথে মিলে যায়। 

   

‘স্পাইক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কী?
‘স্পাইক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ইজরায়েলের প্রধান প্রতিরক্ষা সংস্থা রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি বহুমুখী আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যা হাতে যেকোনো জায়গায় বহন করা যেতে পারে। এছাড়াও, এটি নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এটি ট্যাঙ্ক, বাঙ্কার, ভবন, জাহাজ এমনকি ধীর গতিতে উড়ন্ত হেলিকপ্টারের মতো বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে কাজ করে?
স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্রটি ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট মোডে কাজ করে, যার অর্থ একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজেই তার লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পায়। কিন্তু এর আরেকটি বিশেষ ক্ষমতা আছে – ফায়ার, অবজারভ এবং আপডেট। এর অর্থ হল যে ব্যক্তি এটি নিক্ষেপ করছে সে ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়ে যাওয়ার সময়ও লাইভ ভিডিও দেখতে পারে। প্রয়োজনে, সে লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারে এমনকি আক্রমণ বন্ধও করতে পারে।

Advertisements

শুধু তাই নয়, স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্নত ইলেকট্রো-অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড সিকার দিয়ে সজ্জিত। এই সিকারগুলি এটিকে দিন এবং রাত উভয় সময় আক্রমণ করতে সক্ষম করে। এটি লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে বস্তুর আলো বা তাপের চিহ্ন ব্যবহার করে।

স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা?
স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরিবার, যার অধীনে ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বিভিন্ন পাল্লা এবং ক্ষমতা রয়েছে। এই সকলের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র হল স্পাইক-এনএলওএস অর্থাৎ নন-লাইন অফ সাইট। রিপোর্ট অনুসারে, এর পাল্লা ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি। অতএব, ধারণা করা হচ্ছে যে ইজরায়েল এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় আক্রমণ করেছে।