মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিল ইরান৷ এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওরা ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ও ছিল ওদের পয়লা নম্বর শত্রু।”
নেতানিয়াহুর দাবি, ট্রাম্প ইরানের পরমাণু শক্তি অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। “তিনি এক স্পষ্ট বার্তায় বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে না। এমনকি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করাও চলবে না,”
‘আমি ছিলাম তাঁর জুনিয়র পার্টনার’
ইরানের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থানে ট্রাম্পের পাশে থাকার কথাও বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। নিজেকে ট্রাম্পের “জুনিয়র পার্টনার” আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু জানান, ইরান তাঁর বাসভবনের শোবার ঘরের জানালায় একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।
ট্রাম্পের কৃতিত্ব স্বীকার করে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি ভুয়ো পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন, কাসেম সোলাইমানিকে নির্মূল করেছিলেন এবং ইরানের সঙ্গে “দুর্বল আপসের” পথ নেননি।
‘Operation Rising Lion’: ইতিহাসের অন্যতম বড় সামরিক অভিযান Iran wants to kill Trump
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি “অনেকটাই পিছিয়ে” গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমরা কেবল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করছি না, সারা বিশ্বের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করছি।”
‘Operation Rising Lion’ নামের এই সামরিক অভিযানকে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সফল অপারেশন বলে বর্ণনা করেছেন।
ইরান থেকে আসা অস্তিত্ব সংকট
নেতানিয়াহুর মতে, ইসরায়েল এখন একযোগে দুই দিক থেকে অস্তিত্ব সংকটের মুখে- ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে, তারা আগামী তিন বছরে বছরে ৩,৬০০ করে ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করছে, যা ২৬ বছরে দাঁড়াবে ২০,০০০-এ৷ এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সমঝোতা নয়, কার্যকর সামরিক প্রতিরোধই এখন একমাত্র পথ-এমন বার্তাই দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
ইরানিদের উদ্দেশে বার্তা
সাক্ষাৎকারের শেষে ইরানবাসীর উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, “পাঁচ দশক ধরে তোমরা একই ইসলামিক শাসনের নিপীড়নের শিকার। এই শাসনই আজও ইসরায়েল ধ্বংসের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।”