Iran Space Launch: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার সামরিক বাহিনী বাড়ানোর কাজ করছে। এর পাশাপাশি ইরানও মহাকাশে তার সক্ষমতা দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইরান মহাকাশে সফল উৎক্ষেপণের ঘোষণা করেছে, যা তার সর্বশেষ উৎক্ষেপণ কর্মসূচির অংশ। যার সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমি দেশগুলো।
পশ্চিমি দেশগুলোর অভিযোগ, এই কর্মসূচি তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রচার করছে। ইরান তার স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম সিমোর্গ গাড়ির মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করেছে। এই যানটি নিয়ে পূর্বে করা অনেক লঞ্চের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইরানের সেমনান প্রদেশে অবস্থিত ইমাম খোমেনি স্পেসপোর্ট থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ইরান এবার সিমোর্গের পেলোড ওজন আগের চেয়ে বেশি রেখেছে।
তবে এখন পর্যন্ত উৎক্ষেপণের সফলতা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধ এবং লেবাননে দুর্বল অস্ত্রবিরতি চুক্তির কারণে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে এমন এক সময়ে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পরও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বলেছিল যে ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন লঙ্ঘন করেছে এবং তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম না নিতে বলেছিল। এর পরও উৎক্ষেপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ইরান এ পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ১৫টিরও বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্যাটেলাইট রাশিয়ার সহযোগিতায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে, ইরান বলেছে যে এই উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য হল বেসামরিক উদ্দেশ্য যেমন কৃষি এবং গবেষণার জন্য, যদিও পশ্চিমি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে এর পিছনে একটি নিয়মতান্ত্রিক সামরিক প্রচেষ্টা লুকিয়ে আছে।
ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ইরান এখন গ্রেড লেভেলের কাছাকাছি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বারবার বলেছেন যে তেহরান যদি সেগুলো তৈরি করতে চায় তবে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এর পরও ইরান বিষয়টি মানতে রাজি নয়। ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র চাওয়ার কথা অস্বীকার করে আসছে।