কলকাতা: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া হামলার পাল্টা জবাবে শনিবার ভোরে ইরান থেকে পাঁচটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয় ইসরায়েলের দিকে। তেল আবিবসহ মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজানো হয় এবং আকাশে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মিসাইল আটকাতে দৃশ্যমান হয়। সৌভাগ্যক্রমে, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাল্টা বিমান হামলা ইজরায়েলের
অপরদিকে, ইসরায়েলও পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল সংরক্ষণাগার ও উৎক্ষেপণ স্থল লক্ষ্য করে। ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানায়, ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর হামলা হয়েছে, তবে বিপজ্জনক কোনো বিকিরণ বা রাসায়নিক নির্গত হয়নি। একইসঙ্গে কুম শহরে একটি ভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে ও দু’জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই সংঘাতের সূত্রপাত গত শুক্রবার, যখন ইসরায়েল এক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক বিমান হামলা চালায়। ইরান তাৎক্ষণিকভাবে মিসাইল ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেয়। এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে প্রায় ৬৪০ জন নিহত এবং ১৩০০ এর বেশি আহত হয়েছেন। অপরদিকে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের বক্তব্য Iran Israel Missile Strikes
ইসরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিদিয়ন সার বলেছেন, “আমাদের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতাকে অন্তত দুই থেকে তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা থামব না যতক্ষণ না এই হুমকি পুরোপুরি নির্মূল হয়।”
অন্যদিকে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জেনেভায় বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবরকম প্রচেষ্টা চালাবে, কিন্তু ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে কূটনৈতিক পথ বন্ধই থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা সংঘর্ষে কী ভূমিকা নেবে তা ঠিক করবেন। তিনি বলেন, “ইরান ইউরোপের নয়, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়।”
এই সংঘাতের মধ্যে এখনো সাময়িক শান্তির কোনো লক্ষণ নেই, এবং পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।