ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শোনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের রক্তপাত। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের বিয়ারশেভা শহরে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানলে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তথ্য জানাচ্ছে ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় জরুরি পরিষেবা।
এই হামলার ঠিক আগেই ইরান জানায়, তারা রাত ৪টা (স্থানীয় সময়) থেকে তাদের সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রেখেছে। তবে সেই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইজরায়েল দাবি করে, ইরানের দিক থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছটাফটা শুরু হয়েছে।
IDF-এর সতর্কতা: আকাশে ফের ক্ষেপণাস্ত্র, চলছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) জানিয়েছে, তারা একাধিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, যেগুলি ইজরায়েলের বিভিন্ন অংশে আছড়ে পড়তে চলেছে। এক বিবৃতিতে IDF জানিয়েছে, “সামান্য আগেই ইরান থেকে ইজরায়েলের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং লক্ষ্যভেদে প্রস্তুত রয়েছে।” ইজরায়েল দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও তারা অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র হানার ঘটনা রেকর্ড করেছে।
‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছে ইরান’- দাবি ইরানি বিদেশমন্ত্রীর iran israel missile attack
অন্যদিকে ইরানের বিদেশমন্ত্রী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ পোস্ট করে জানান, “আমাদের সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্ত, অর্থাৎ রাত ৪টা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। এরপর থেকে ইরান হামলা বন্ধ করেছে।” তিনি জানান, ইজরায়েল যদি আগ্রাসন বন্ধ রাখে, তাহলে ইরানের তরফ থেকেও নতুন কোনও হামলার সম্ভাবনা নেই।
ইজরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেনি
যদিও আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলতে রাজি, তবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে এখনও সরকারি কোনো বিবৃতি প্রকাশ পায়নি।
এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এসেছিল সেই সময়, যখন ইরান কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইসফাহান, নাতাঞ্জ এবং ফোর্ডোর পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল।
যুদ্ধবিরতির কথা মুখে বলা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ এখনও শেষ হয়নি। আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন ইজরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই।