Iran vs Israel: ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, ইরান একটি নতুন এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হাজ কাসিম’ ব্যবহারের দাবি করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে যে ইজরায়েলে বায়ু হামলার সময় তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের শক্তিশালী কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির নামে, যিনি ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন।
‘হাজ কাসিম’ ক্ষেপণাস্ত্র কী?
‘হাজ কাসিম’ একটি কঠিন জ্বালানিযুক্ত, মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে জেনারেল কাসিম সুলাইমানির নামে, যাকে ইরানের কুদস বাহিনীর শক্তিশালী কমান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হত। ২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় কাসিম সুলেইমানি নিহত হন। এমন পরিস্থিতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ‘হাজ কাসিম’, যার অর্থ ‘প্রতিশোধ’।
‘হাজ কাসিম’-এর বৈশিষ্ট্য এবং প্রাণঘাতী ক্ষমতা কী কী?
ফার্স্টপোস্টের রিপোর্ট অনুসারে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এটি ১১ মিটার লম্বা এবং প্রায় সাত টন ওজনের। এটি ৫০০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক পদার্থ বহন করতে সক্ষম। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর ‘ম্যানুভারেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল’ (MaRV), যার অর্থ এটি তার লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি না পৌঁছানো পর্যন্ত তার দিক পরিবর্তন করতে পারে।
এছাড়াও, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের গতির চেয়ে অনেক গুণ দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করে। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় এর গতি ম্যাক ১১ অর্থাৎ শব্দের গতির ১১ গুণ এবং সংঘর্ষের সময় এটি ম্যাক ৫। এতে অপটিক্যাল ইনফ্রারেড সিকার এবং ইনর্শিয়াল নেভিগেশনের মতো উন্নত নেভিগেশন নিয়ন্ত্রণও রয়েছে, যা এটিকে ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম করে।
একই সাথে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ দাবি করেছেন যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন সেনাবাহিনীর টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড ডিফেন্স (THAAD) এবং প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকেও পালাতে পারে। THAAD কে সাধারণত স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য সেরা অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি হজ কাসিমের সামনে অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।