১৯৭১ থেকে কলঙ্কজনক রেকর্ড, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের মুখোশ খুলল ভারত

India shreds Pakistan at UN কলকাতা: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ফের মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরে যৌন হিংসার অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদ যখন প্রচার চালাচ্ছিল, তখনই…

India shreds Pakistan at UN

India shreds Pakistan at UN

কলকাতা: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ফের মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরে যৌন হিংসার অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদ যখন প্রচার চালাচ্ছিল, তখনই কড়া জবাব দিল ভারত। ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নারী নির্যাতনের প্রশ্নে পাকিস্তানের কোনও নৈতিক অধিকার নেই।

পুন্নোস স্মরণ করিয়ে দেন, “১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনার হাতে লক্ষাধিক নারীর উপর সংঘটিত বর্বর যৌন নিপীড়ন আন্তর্জাতিক ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায়।” আজও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাই এই অপরাধকে মান্যতা দিচ্ছে—অভিযোগ ভারতের।

   

ভারতীয় কূটনীতিকের তীব্র কটাক্ষ, “যাঁরা নিজেরাই এ ধরনের অপরাধের নেপথ্যে, তাঁরাই আজ ন্যায়বিচারের মুখোশ পরে বিশ্বসভায় দাঁড়াচ্ছেন। এ এক চরম ভণ্ডামি।”

পাকিস্তানের বর্তমান ছবি

পুন্নোস রাষ্ট্রসংঘে তুলে ধরেন পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিও। ২০২৪ সালে সাসটেইনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে পাকিস্তানে ২৪ হাজারের বেশি অপহরণ, প্রায় ৫ হাজার ধর্ষণ এবং ৫০০-র বেশি তথাকথিত ‘অপমানজনিত হত্যা’ ঘটেছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু হিন্দু সংখ্যালঘু কিশোরীকে জোর করে বিয়ে ও ধর্মান্তরের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অথচ দোষীদের সাজা কার্যত নেই—দণ্ডিত হওয়ার হার ২ শতাংশেরও কম।

পুন্নোস আরও জানান, সংঘাতজনিত যৌন হিংসার অপরাধীদের কঠোরতম ভাষায় নিন্দা করতে হবে৷  আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা জরুরি। পাশাপাশি আক্রান্ত নারীদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদানে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।

ভারতের উদ্যোগ সামনে আনলেন প্রতিনিধি India shreds Pakistan at UN

পাকিস্তানের ভণ্ডামি উন্মোচনের পাশাপাশি ভারতের পদক্ষেপও বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন পুন্নোস। তিনি জানান—

Advertisements
  • ভারতই প্রথম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা যৌন সহিংসতার শিকারদের জন্য রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দিয়েছে।
  • ২০১৭ সালে ভারত স্বেচ্ছায় চুক্তি স্বাক্ষর করে শান্তিরক্ষা মিশনে যৌন শোষণ প্রতিরোধে।
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি স্মরণ করান, ২০০৭ সালে ভারত প্রথমবার লিবারিয়ায় সর্ব-মহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল, যা স্থানীয় মানুষের আস্থা অর্জনে দৃষ্টান্ত তৈরি করে। বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রসংঘ মিশনে ভারতীয় মহিলা বাহিনী কাজ করছে সফলভাবে।

দেশীয় স্তরে নারীর সুরক্ষা

দেশের ভেতরে নারী সুরক্ষার জন্য ভারত গড়ে তুলেছে বিশেষ ব্যবস্থা—

নির্ভয়া ফান্ডে ১.২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ, জরুরি প্রতিক্রিয়া নম্বর ১১২ চালু, প্রতিটি জেলায় ‘সখী ওয়ান স্টপ সেন্টার’, যেখানে পুলিশ, চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা একত্রে পাওয়া যায়।

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্পষ্ট বার্তা— নারী সুরক্ষায় ভারতের অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর কাছে মডেল হতে পারে, যা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নারী-নির্যাতনের শিকারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পথ দেখাতে সক্ষম।

World: India’s diplomat Eldos Mathew Punnos strongly rebutted Pakistan’s claims on sexual violence in Jammu and Kashmir at the UNSC. He highlighted Pakistan’s own history of atrocities in 1971 and ongoing abuse against minority women, calling out their hypocrisy.