বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত মোদি

বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে এমন বার্তা দিলেন তিনি। গত সপ্তাহে ১০৪ জন অভিবাসীকে ভারতে পাঠানো হয়েছে।…

বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে এমন বার্তা দিলেন তিনি। গত সপ্তাহে ১০৪ জন অভিবাসীকে ভারতে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে মোদী সাফ জানিয়ে দেন বেআইনি ভাবে কোনো দেশে বসবাস করার অধিকার নেই কারোর। তিনি আরো বলেছেন বহু ছেলেমেয়েকে বড়ো বড়ো স্বপ্নের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান ভারতীয় যুবকদের দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তাদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ফেরত পাঠানো অভিবাসীরাও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া কে হাতিয়ার করে বিভিন্ন এজেণ্ট এই প্রতারণার ফাঁদ পাতে এবং সেই ফাঁদে পা দিয়ে কিভাবে তারা প্রতারিত হয়েছেন এবং মার্কিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এবার এরই বিরুদ্ধে সরব হলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি পোষ্কার জানিয়ে দেন এই পাচার চক্র নির্মূল করার যুদ্ধ শুরু হয়েছে ভারতে এবং তা নির্মূল হবেই। উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন ২০০৯ সালে ৭৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৯৯, ২০১১ সালে ৫৯৭ এবং ২০১২ সালে ৫৩০ জন বেয়াইনি অভিবাসীকে ভারতে পাঠানো হয়।

   

মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই ট্রাম্প বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হটানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং ভারত কখনোই এর বিরোধিতা করেনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী মোট ১৮০০০ অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এবার তাদের দেশে ফেরাবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মানব পাচার একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ যা সারা বিশ্বে মন্দ প্রভাব ফেলছে। এই পাচারচক্র শুধুমাত্র মানুষের জীবনকে ধ্বংস করছে না, বরং এটি মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি সম্মানও কমিয়ে দিচ্ছে। মোদি আরও জানান, ভারত এবং আমেরিকা উভয় দেশই এই সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, মানব পাচারের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “ভারত এবং আমেরিকা একত্রে পাচারচক্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারবে। এর জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক আইনগত সহযোগিতা এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মজবুত কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন।”