ঢাকার বিদ্যালয়ে যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে বহু পড়ুয়া নিহত। সোমবার এই দুর্ঘটনার পর থেকে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। বিমান ধসে পড়ার পর বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া শিশু পড়ুয়াদের অনেকেই আশঙ্কাজনক। কুড়ি জনের বেশি নিহত। বাংলাদেশে পালিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় শোক। বিবিসির খবর, ঢাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত সরকার।
সোমবার ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশকে সাহায্যের বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। মঙ্গলবার দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল যাচ্ছে ঢাকায়। দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যাদের বার্ন ইউনিটে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে ও নার্সদের একটি ছোট টিম নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছে যাবে।
সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে ওই বিদ্যালয়ে। ওই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশের বিদেশ সচিবকে ফোন করেন এবং যে কোনও দরকারে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথাও তাকে জানিয়ে দেন। এরপর থেকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে দুই সরকারের মধ্যে সারাক্ষণই যোগাযোগ থেকেছে।
বিবিসি’র খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিকে জানানো হয়েছিল, বেশির ভাগের শরীর পুড়ে গেছে তাই এই দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ দল, অত্যাধুনিক ওষুধপত্র পেলেই সবচেয়ে সুবিধে হবে। সেই অনুরোধ অনুযায়ী দিল্লিও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় এবং নার্স-সহ দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
গতবছর রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রিত। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক গরম। তবে এই পরিস্থিতিতে ভারতের সাহায্য কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের মজবুত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।