ভারতের ‘মুন মিশনে’র উদাহরণ তুলে ধরে সে দেশের বীভৎসতার তুলনা টানলেন পাকিস্তানের এক সাংসদ! পাক পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানেরঅনুন্নয়নের নিন্দায় সরব হয়েছেন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান দলের সদস্য সৈয়দ মোস্তফা কামাল।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখছিলেন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান দলের সদস্য সৈয়দ মোস্তফা কামাল। সেখানেই ভারতের সফল চন্দ্রাভিজানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সেকানেই তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গোটা বিশ্ব আজ চাঁদে চলে যাচ্ছে। অথচ আমাদের করাচির অবস্থা দেখুন। এখানে বহু শিশু আবর্জনার স্তূপে পড়ে প্রাণ হারায়। যে মুহূর্তে ভারত চাঁদের বুকে পা রেখেছিল তার ঠিক দু’সেকেন্ড পড়ে খবর এসেছিল আবর্জনার স্তূপে একটি শিশু মারা গিয়েছে। প্রতি তিনদিনে এই শিশুমৃত্যুর খবর আমাদের কাছে আসে।’
করাচির জল সংকটের কড়া সমালোচনা করেন এই পাক সাংসদ। তাঁর দাবি, ‘পাকিস্তানের রেভেনিউ ইঞ্জিন করাচি। এখানেই আমাদের দু’টি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। যা এই করাচিতেই অবস্থিত। এই শহর গোটা পাকিস্তান, মধ্য এশিয়া ও আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার। দেশের জন্য ৬৮ শতাংশ রাজস্ব এই শহর থেকেই আসে। কিন্তু গত ১৫ বছরে একটুও বিশুদ্ধ জল দিয়েছে করাচি? যা জল এসেছে তা মাফিয়ারা ট্যাঙ্কারে মজুত করেছে সাধারণ মানুষকে বিক্রি করার জন্য।’
দেশের শিক্ষাব্যবস্থার হাল তুলে ধরার সময় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের সাংসদ সৈয়দ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের মোট ৪৮ হাজার স্কুল আছে, কিন্তু নতুন রিপোর্ট বলছে যে ১১ হাজার স্কুলেই ভূতেরা থাকে। সিন্ধুতে ৭০ লক্ষ শিশু স্কুলে যায় না। দেশজুড়ে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬২ লাখ। দেশের নেতারা শুধু এই বিষয়ে নজর দিলেই তাঁদের রাতে ঠিকমত ঘুমোতে পারা দুষ্কর হবে।’
বর্তমানে চরম আর্থিক দৈনতায় জর্জরিত পাকিস্তান। ঋণের বোঝা চেপে বসেছে ইসলামাবাদের উপর। তারপরও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আরও ঋণ চাইছে ভারতের এই পড়শি দেশটি৷ বর্তমানে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানে রয়েছে আইএমএফ-এর কর্তারা। ঘুরে দাঁড়াতে ব্যাংক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। বদল করতে বলা হয়েছে কর ব্যবস্থাও।