চাবাহার বন্দর মারফত রাশিয়াতে শর্ট করিডর, উদ্যোগে ভারত

চাবাহার বন্দরের (CHABAHAR PORT) পরিকাঠামো ব্যবস্থার অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ভারত-ইরান আলোচনার পর নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দুই দেশই চাবাহার বন্দরের অগ্রগতি সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন…

CHABAHAR PORT

চাবাহার বন্দরের (CHABAHAR PORT) পরিকাঠামো ব্যবস্থার অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ভারত-ইরান আলোচনার পর নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দুই দেশই চাবাহার বন্দরের অগ্রগতি সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী স্তরের বৈঠকে আফগানিস্তান সহ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা চলেছে।

এদিকে, ইরানের জাতীয় শিপিং কোম্পানি জানাচ্ছে যে এটি আন্তর্জাতিক North-South Transportation Corridor (আইএনএসটিসি) ব্যবহার করে ভারতে রাশিয়ান পণ্যের প্রথম ট্রানজিট সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত চাবাহার বন্দরকে INSTC এর আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেছে। গত সপ্তাহে আইএনএসটিসি-র গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে মস্কো এটিতে আরও মনোযোগ দিতে চায়। কারণ এই প্রকল্প ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ONGC Videsh Limited এর সাতপায়েভ তেল ব্লকে একটি শেয়ার থাকলেও পরে তারা এই অংশীদারিত্ব থেকে বেরিয়ে যায়। জুন মাসে, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর (INSTC) এর মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ভারতে পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে কার্গো পাঠানো হয়েছিল। INSTC মুম্বাই, বন্দর আব্বাস, বাকু, বন্দর আনজালি, আস্ট্রখান এবং মস্কোকে সংযুক্ত করে।

চাবাহার বন্দর পশ্চিম ভারতের মূল সংযোগ প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ অব্যাহত রেখেছে ভারত। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে ভারত এই দেশের সবথেকে বড় সাহায্যকারী দেশ। আফগান সাংসদ ও হেরাতে ভারত-আফগান বাঁধসহ দেশের বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্পের কাজে ভারত সবরকমভাবে সাহায্য করেছিল। কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর পুরো ছবিটাই বদলে যায়। ভারত দূতাবাস থেকে কর্মীদের পাশাপাশি সেই দেশে কর্মরত বহু ভারতীয়কেও ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

গত মাসে, ৪১ টন কাঠের ল্যামিনেট শীটের একটি কার্গো সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে রাশিয়ান বন্দর আস্ট্রাখানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং সেখান থেকে এটি ইরানের আনজালি কাস্পিয়ান বন্দরে পাঠানো হয়। তারপরে এটিকে সড়কপথে ইরানের বন্দর আব্বাসে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে কার্গোটি মুম্বাইতে পাঠানো হয়। পুরো যাত্রায় ২৪ দিন সময় লেগেছে এবং ট্রান্স-ইরানিয়ান রেলপথটি সম্পন্ন হলে এই সময় কমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।