গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে গত বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত। দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্রলীগ। এই নিষিদ্ধ সংগঠনটির হামলায় এবার একাধিক নিহত হলেন। ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ। এই এলাকা (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনার একমাত্র তথা শেষ ঘাঁটি। সেই ঘাঁটি রক্ষায় তৎপর হাসিনার ভক্তরা। রক্তাক্ত পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া হল শেখ হাসিনার পৈত্রিক নিবাস। তিনি গোপালগঞ্জ থেকে বারবার নির্বাচিত হতেন। গতবছর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর বাংলাদেশের একমাত্র গোপালগঞ্জেই নিজেদের সংগঠন ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ।
বিবিসি জানিয়েছে, গতবছর বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল তাদেরই দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক সমাবেশে হামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার সমর্থকরা। অভিযোগ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের কর্মীদের এনসিপি’র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান,গোপালগঞ্জে তাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে।
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের মৃতদেহ সদর হাসপাতালে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, এখন পর্যন্ত চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ধৈর্য ধরে তারা গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, গণ অভ্যুত্থান আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে বাধা দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিষ্ঠুর আক্রমণের মাধ্যমে ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি, পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।