ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাজনীতি ফের উত্তপ্ত। এবার কারাগার থেকেই সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানালেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিশানা করা হচ্ছে।
সোমবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খান বলেন, “আসিম মুনিরের প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতাই দায়ী বুশরার ১৪ মাসের অন্যায় কারাবাস এবং কারাগারে তার অমানবিক পরিস্থিতির জন্য।”
ব্যক্তিগত রেষের শিকার বুশরা বিবি?
ইমরানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আসিম মুনিরকে আইএসআই প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন। সেই অপসারণের পর থেকেই শুরু হয় ‘ব্যক্তিগত শত্রুতা’। এমনকি মুনির তার স্ত্রী বুশরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিভিন্ন মাধ্যম ধরে। যদিও বুশরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এ ধরনের ব্যাপারে তার কোনও সংযোগ নেই এবং তিনি দেখা করবেন না।”
“রাজনীতিতে নেই, তবু একের পর এক মিথ্যা মামলা” Imran Khan accuses Army Chief
ইমরান জানান, “বুশরা একজন গৃহিণী, যার রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। অথচ তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাবন্দি রাখা হচ্ছে। ‘সহায়তা ও প্ররোচনা’র মতো অভিযোগ তোলা হলেও, আজ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেউ।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত চার সপ্তাহ ধরে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। ১ জুন সাক্ষাতের নির্ধারিত দিন ছিল, কিন্তু তাও বাতিল করা হয়েছে— আদালতের নির্দেশ অমান্য করে।
৯ মে’র ঘটনার নেপথ্যে ‘লন্ডন প্ল্যান’?
পাকিস্তানে সেনা স্থাপনায় হামলার ঘটনাও ফের টেনে এনেছেন ইমরান খান। তার অভিযোগ— ৯ মে-র ঘটনাগুলো ছিল সাজানো, উদ্দেশ্য ছিল তার দল পিটিআই-কে মুছে ফেলা। “এটা ছিল একটি প্রি-প্ল্যানড ষড়যন্ত্র—যাকে আমি বলি ‘লন্ডন প্ল্যান’। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তিকে শেষ করতেই এই চক্রান্ত,” বলেন তিনি।
বিচার ব্যবস্থার দিকেও তীব্র ইঙ্গিত
বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান। বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কোনো বিচারক তা দেখতে চান না। কেউ প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিতে সাহস পাচ্ছেন না। বিচার এখন ন্যায়ের জন্য নয়, বরং নিজের চেয়ার বাঁচানোর লড়াই।”
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মে ৯ এবং নভেম্বর ২৬, ২০২৪-এর ঘটনা ঘিরে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন ইমরান খান।