বিরাট বিরাট বরফের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি সুমেরুতে। এই বলয়ে ও আন্টার্কটিকার (Antraktica) উপকূলে বরফের সুনামি (iceberg tusnami) হয়ে গেছে।
অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিচ চিনের ঝোংশান গবেষণা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ বরফের সুনামি শনাক্ত করা হয়। সুনামির সময় ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার বিশাল ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছে। এই বরফের সুনামি রেকর্ড করেছেন চিনের ৪১তম অ্যান্টার্কটিক অভিযানের গবেষকরা।
চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, হিমবাহের ভেঙে পড়া এবং আইসবার্গের ওজন পরিবর্তনের কারণে এই সুনামির সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে এমনই এক ভয়াবহ বরফ সুনামি চিনের ঝোংশান স্টেশনে আঘাত হানে। এতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই গবেষকরা অঞ্চলটিতে নজরদারি বাড়িয়েছেন যাতে সময়মতো সুনামির সতর্কতা জারি করা যায়।
গবেষকদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আগের চেয়ে দ্রুত গলে যাচ্ছে বরফ। পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব অ্যান্টার্কটিকায় প্রকট হয়ে উঠছে।
গবেষকরা বলছেন, আইসবার্গ গলে ও ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে গেলে বিশাল ঢেউ তৈরি হয়। এর ফলে বরফ সুনামি তৈরি হয়। এই সুনামি আঘাত হানার সময় ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয়। চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে কয়েক দফা আর ফেব্রুয়ারির প্রায় প্রতিদিনই এমন ঢেউ শনাক্ত করা হয়েছে। উষ্ণতার কারণে বরফের গলে যাওয়া আরও দ্রুত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে বড় বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আইসবার্গ সুনামি অ্যান্টার্কটিক অভিযানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। 14 মার্চ, 2019 সালে, একটি গুরুতর সুনামি স্টেশনের পান্ডা টার্মিনালকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সাগরে পাত্রে ঝাড়ু দেয় এবং সামুদ্রিক পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ধ্বংস করে।
যেহেতু ফেব্রুয়ারী হিমশৈল সুনামির জন্য একটি শীর্ষ মরসুম, তাই স্টেশনের গবেষকরা একটি বরফখণ্ড সুনামি স্টেশনে আঘাত করলে সময়মতো সতর্কতা জারি করা নিশ্চিত করার জন্য মনিটরিং জোরদার করেছেন এবং এইভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়েছেন৷
চীনের 41 তম অ্যান্টার্কটিক অভিযান দল 1 নভেম্বর, 2024 এ যাত্রা শুরু করে, একটি মিশন শুরু করে যা প্রায় সাত মাস স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন গত প্রায় 40 বছরে অ্যান্টার্কটিকায় পাঁচটি গবেষণা ঘাঁটি স্থাপন করেছে – গ্রেট ওয়াল স্টেশন, ঝংশান স্টেশন, কুনলুন স্টেশন, তাইশান স্টেশন এবং কিনলিং স্টেশন