ট্রাম্পকে দশ গোল দিতে পারতাম! কিন্তু.., সাদাবাড়ি ছাড়ার আগে মুখ খুললেন বাইডেন

ওয়াশিংটন: কুর্সি ছাড়ার সময় আসন্ন৷ খুব শীঘ্রই আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা তুলে হোয়াইট হাউসকে আলবিদা জানাবেন বিদেয়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ প্রিসিডেন্ট নির্বাচনে…

I would've beaten Trump says Biden

short-samachar

ওয়াশিংটন: কুর্সি ছাড়ার সময় আসন্ন৷ খুব শীঘ্রই আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা তুলে হোয়াইট হাউসকে আলবিদা জানাবেন বিদেয়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ প্রিসিডেন্ট নির্বাচনে দল হারার পর থেকেই মন ভালো নেই তাঁর৷ খানিকটা হতাশ বলেও খবর আসছিল৷ এই আবহে মুখ খুললেন বাইডেন৷বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, যদি নির্বাচনে অংশ নিতাম, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারতাম৷ সেই সঙ্গেই বাইডেন জানান, পার্টির ঐক্য রক্ষার জন্যেই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ (I would’ve beaten Trump says Biden)

   

প্রার্থী না হওয়ায় অনুতপ্ত? I would’ve beaten Trump says Biden

তিনি কি তাঁর পুনরায় প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত? কমলা হ্যারিসের প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তটি কি ভুল ছিল? সেই কারণেই কি ট্রাম্পের সহজ জয়? এর উত্তরে বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি না। আমি মনে করি, আমি ট্রাম্পকে হারাতে পারতাম এবং কমলাও (হ্যারিস) ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারত৷’’

জুলাই ২০২৪-এ, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, বাইডেন নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে আসেন এবং কমলা হ্যারিসকে তাঁর জায়গায় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানান। বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্টিয়াল বিতর্কে তাঁর হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবং তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ।

পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বাইডেনের সিদ্ধান্ত I would’ve beaten Trump says Biden

৮২ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, তিনি মনে করতেন যে, নির্বাচনের আগে পার্টির ঐক্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, “পার্টি উদ্বিগ্ন ছিল আমি কি চলতে পারব? যদিও আমি বিশ্বাস করতাম আমি আবারও জিততে পারব। কিন্তু আমি মনে করেছিলাম পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন।”

বাইডেন আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান, কিন্তু আমি চাইনি ঐক্যবদ্ধ নয়, এমন দলের কাছে হেরে যাওয়া প্রার্থ হয়ে থাকতে। এজন্যই আমি সরে এসেছিলাম। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে কমলা জিততে পারবে।”

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরও মন্তব্য করেন, কমলা হ্যারিস আগামী চার বছরে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। সেই সঙ্গে এও বলেন, “এটা তাঁর সিদ্ধান্ত হবে”।

অফিস ছাড়লেও তিনি যে সাধারণ মানুষের পাশ থেকে সরে যাবেন না, সে কথাও মনে করিয়ে দেন বাইডেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি চোখের আড়ালে যাব না৷’’