ইতালিতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে পথে লক্ষাধিক

রোম, ৪ অক্টোবর: ইতালির রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের ঢেউ (Middle East Tension)। গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার জেনারেল স্ট্রাইকের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে…

Middle East Tension

রোম, ৪ অক্টোবর: ইতালির রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের ঢেউ (Middle East Tension)। গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার জেনারেল স্ট্রাইকের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, যাতে হাইওয়ে, বন্দর এবং রেলপথ ব্লক করে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ইউএসবি ইউনিয়নের আহ্বানে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে বোলোনিয়ায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশ নেয়।

Advertisements

বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ এবং ‘জেনোসাইড বন্ধ করো’ স্লোগান দিয়েছে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ষাটের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এই ঘটনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়েছে, যিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন।

   

জাতীয় শিবিরে যোগদান করলেন এফসি গোয়ার তিন তারকা

বোলোনিয়ায় বিক্ষোভকারীরা ফ্লোরেন্স হাইওয়ে ব্লক করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, যাতে যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওয়াটার ক্যানন এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে চেয়েছিল, যদিও অনেক অংশগ্রহণকারী ছিলেন নাবালক। এতে আটজন গ্রেফতার হয়েছে। মিলানে ৫০ হাজার মানুষ রেল স্টেশন আক্রমণ করে, যেখানে প্যালেস্টাইনের পতাকা উড়িয়ে ইউএস ফ্ল্যাগ পোড়ানো হয়েছে।

রোমের টার্মিনি স্টেশনের সামনে ২০ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হয়ে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ চিৎকার করেছে। জেনোয়ায় ডকওয়ার্কাররা বন্দর ব্লক করে ইসরায়েলের অস্ত্র পরিবহন রোধ করেছে, যখন ভেনিস, লিভর্নো এবং ট্রিয়েস্টের বন্দরেও প্রতিবাদ হয়েছে। ফ্লোরেন্সে হাইওয়ে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এবং টুরিন, নেপলস, পালার্মোসহ ৮০টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই স্ট্রাইকের মূলে রয়েছে গাজায় চলতি যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইতালির সরকারের নীরবতা। গাজা হেলথ মিনিস্ট্রির তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৩ মাসে ৬৫,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১,০০০-এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং শত শত সাংবাদিক। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছে, ইতালি ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

তারা ইতালিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্যিক-সামরিক চুক্তি বাতিল এবং গাজায় সাহায্যবহনকারী ফ্লটিলাকে সুরক্ষা দেওয়ার দাবি তুলেছে। পটেরে আল পোপোলো পার্টির নেত্রী মার্তা কলট বলেছেন, “এটি ফিলিস্তিনিদের সাথে কংক্রিট সলিডারিটি। আমরা ইউরোপীয় জেনোসাইডের সহযোগিতা বন্ধ করব।”

এই স্ট্রাইকের মূলে রয়েছে গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইতালির সরকারের নীরবতা। গাজা হেলথ মিনিস্ট্রির তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৩ মাসে ৬৫,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১,০০০-এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং শত শত সাংবাদিক। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছে, ইতালি ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

তারা ইতালিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্যিক-সামরিক চুক্তি বাতিল এবং গাজায় সাহায্যবহনকারী ফ্লটিলাকে সুরক্ষা দেওয়ার দাবি তুলেছে। পটেরে আল পোপোলো পার্টির নেত্রী মার্তা কলট বলেছেন, “এটি ফিলিস্তিনিদের সাথে কংক্রিট সলিডারিটি। আমরা ইউরোপীয় জেনোসাইডের সহযোগিতা বন্ধ করব।”