আদানি, সেবি প্রধানকে নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট! বন্ধ হচ্ছে সেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ!

নয়াদিল্লি: বছর দু’য়েক আগের কথা৷ ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানিকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছিল তাদের রিপোর্ট৷ চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় আগানি গোষ্ঠীকে৷ তাদের শেয়ার বাজারে ধস নামে৷…

hindenburg research to shut down

নয়াদিল্লি: বছর দু’য়েক আগের কথা৷ ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানিকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছিল তাদের রিপোর্ট৷ চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় আগানি গোষ্ঠীকে৷ তাদের শেয়ার বাজারে ধস নামে৷ কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আদানি গোষ্ঠীকে৷ আইনি সমস্যাতেও পড়তে হয়েছিল ভারতী ধনকুবের গৌতম আদানিকে৷ পরবর্তী সময় তাদের ধারলো রিপোর্ট অস্বস্তিতে ফেলেছিল সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীকেও৷ এবার বন্ধের মুখে সেই ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ সংস্থা৷ বুধবার এই খবরটি জানান খোদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান অ্যান্ডারসন। আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত? 

যা জানালেন অ্যান্ডারসন hindenburg research to shut down

হিন্ডেনবার্গ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘‘আমদের যে সব কাজের আইডিয়া ছিল, তা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। তাই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এমন কিছু সাম্রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছি, যেটা করা দরকার ছিল বলেই আমরা মনে করেছি।’ ন্যাথানের কথায়, এই সংস্থা তাঁর জীবনের একটা অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। অনেক ভেবেচিন্তেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ 

   

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বোমা hindenburg research to shut down

 ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্ডেনবার্গ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক সংস্থার জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার পর্দা ফাঁস করে গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছিল এই মার্কিন সংস্থা৷ কিন্তু একের পর এক বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে কি হুমকির মুখে সংস্থা? প্রাণ ভয়েই কি হিন্ডেলবার্গ বন্ধের সিদ্ধান্ত? বিষয়টি স্পষ্ট করেছে ন্যাথান৷ তিনি সাফ জানান, কিছু সাম্রাজ্যের ভিত নাড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন তিনি৷ যা নাড়িয়ে ছেড়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও হুমকি বা ভয় পাওয়ার বিষয় নেই৷ কোনও অসুস্থতার ব্যাপারও নেই। এই সিদ্ধান্ত পুরোটাই তাঁর ব্যক্তিগত। তিনি জানিয়েছেন, এই চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে গিয়ে জীবনের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে তাঁকে। কাজে এতটাই ফোকাস থেকেছেন যে, পরিবার থেকে কার্যত বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন। তাই এখন এসব ফেলে ফের কাছের মানুষদের কাছে ফিরতে চান। 

ভুয়ো কোম্পানিক তথা ফাঁস 

 মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর জালিয়াতির কথা ফাঁস করা হয়েছিল৷ তাদের দাবি ছিল, মরিশাস, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মতো দেশে ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে বেআইনি লেনদেন এবং কর ফাঁকি দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। হিন্ডেনবার্গের ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই ধস নামে সংস্থার সমস্ত শেয়ারে৷ 

শুধু আদানি গোষ্ঠীই নয়, ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবির)-র নিরপেক্ষ ভূমিকাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল হিন্ডেলবার্গ। এক হুইসলব্লোয়ারের তথ্য তুলে ধরে ন্যাথান অ্যান্ডারসনের সংস্থা জানিয়েছিল, সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। হিন্ডেনবার্গের দাবি ছিল, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন কিছু ভুয়ো বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন, যার সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে৷