ওয়াশিংটন: আমেরিকার টেক্সাসে স্থাপিত ৯০ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিয়ন’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য উত্তেজনা ছড়ালেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা অ্যালেকজান্ডার ডানকান৷ এই মূর্তির নির্মাণ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য, শুল্ক ও H-1B ভিসার নিয়ে উত্তেজনার আবহে এহেন মন্তব্য নিশ্চিতভাবেই ইঙ্গিতপূর্ণ৷
আমেরিকা খ্রিস্টান দেশ
ডানকান এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কেন আমরা এখানে টেক্সাসে একটি মিথ্যা হিন্দু দেবতার মূর্তিকে অনুমোদন দিচ্ছি? আমরা একটি খ্রিস্টান দেশ!” এখানেই থেমে থাকেননি৷ বাইবেলের উদ্ধৃতি টুইট করে বলেন, “তোমরা অন্য কোনও ঈশ্বরকে পুজো করো না৷ আকাশ, পৃথিবী বা সমুদ্রের কোনও মূর্তি বানিও না।”
ডানকানের মন্তব্যে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন (HAF) এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, এই মন্তব্য ‘হিন্দু-বিরোধী ও উত্তেজক’। HAF টুইট করেছে, “আপনার পার্টির সেনেট প্রার্থী যিনি স্পষ্টভাবে বৈষম্যবিরোধী নীতির লঙ্ঘন করছেন, তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে? এ ধরনের মন্তব্য হিন্দু সম্প্রদায়কে আহত করছে এবং সংবিধানের ১ম সংশোধনী লঙ্ঘন করছে।”
বিরোধী দীর্ঘদিনের Hanuman Statue Controversy
এই মূর্তির বিরোধ নতুন নয়। ২০২৪ সালে শ্রী অষ্টলক্ষ্মী মন্দিরে উদ্বোধনের পর থেকেই মূর্তিটি কনজারভেটিভ এবং ট্রাম্প সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে এসেছে। কেউ কেউ মূর্তিকে “ভয়ঙ্কর” বা “অপরিচিত দেবতার প্রতীক” আখ্যায়িত করেছেন।
Newsweek-এর শিরোনাম ছিল: “Huge half-monkey, half-human statue in Texas sparks conservative backlash (অর্ধ-বানর, অর্ধ-মানব হনুমান মূর্তিকে কেন্দ্র করে রক্ষণশীলদের প্রতিক্রিয়া),” যা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। এমনকি কিছু কনজারভেটিভ দাবি করেছেন, মূর্তিটি জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে মিলছে, যিনি ২০২১ সালে হাতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিতর্ক শুধুই ধর্মীয় বা সামাজিক নয়—এটি টেক্সাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী কৌশল এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের প্রতি প্রভাবকেও প্রভাবিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
