তেল আভিভ: ট্রাম্পের ‘মধ্যস্থতায়’ গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি (Gaza Ceasefire) তো হল। কিন্তু বন্দী বিনিময় নিয়ে হামাস-ইজরায়েলের মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা। বুধবার ইজরায়েলের(Israel) সেনাবাহিনীর তরফে দাবী করা হয়েছে, হামাস-কর্তৃক ফেরান ৪ জন যুদ্ধ বন্দীর মৃতদেহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ওই ৪ টি মৃতদেহ গাজায় আটক থাকা যুদ্ধবন্দীদের নয়, বলে দাবী করেছে ইজরায়েল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ২০ জন জীবিত বন্দীকে (Hostages) মুক্তি দেয় হামাস। সেইসঙ্গে ২৮ জন মৃত যুদ্ধবন্দীর অপেক্ষায় রয়েছে ইজরায়েল। মঙ্গলবার তারই মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস।
মঙ্গলবার চারটি মৃতদেহের রাতভর ফরেনসিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছন যে ওই ৪ টি মৃতদেহের সঙ্গে গাজায় আটক থাকা যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে একটিরও মিল নেই, বলে জানায় ইজরায়েলি সেনা। মৃত বন্দীদের ফেরান নিয়ে হামাসের অতি সত্বর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তুলেছে ইজরায়েল।
সোমবার থেকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এখনও পর্যন্ত হামাস ২০ জন জীবিত ইজরায়েলি বন্দী এবং মোট ৮ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। যার মধ্যে একজন নেপালি, ছয়জন ইজরায়েলি এবং অষ্টমজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, ইজরায়েলে আটক থাকা ৪৫ জন প্যালেস্তানীয়ের দেহাবশেষ ফেরত পাওয়া গিয়েছে বলে গাজার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুর দাবী
বুধবার ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেন যে হামাস যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক প্রবর্তিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বন্দীদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য নির্ধারিত শর্তগুলি পূরণ করে। তিনি বলেন, “বন্দীদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনোরকম আপোষ করব না। শেষ মৃত বন্দীকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা থামবে না”।