নেপালে অন্তর্বর্তী নেতৃত্ব নিয়ে Gen Z-এর গোষ্ঠী সংঘর্ষ!

কাঠমান্ডু: অশান্তি, বিশৃঙ্খলা যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না এভারেস্টের দেশে। অগ্নিগর্ভ নেপালে কে হবেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান? বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সেনা সদর দফতরের সামনে…

কাঠমান্ডু: অশান্তি, বিশৃঙ্খলা যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না এভারেস্টের দেশে। অগ্নিগর্ভ নেপালে কে হবেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান? বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সেনা সদর দফতরের সামনে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়াল ‘জেন-জি’। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিগত কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় আন্দোলন করে যারা নতুন করে দেশ গড়তে উদ্যোগ নিল, সেই যেন জি-ই এদিন নিজেদের মধ্যেই অশান্তি শুরু করে।

Advertisements

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পর দেশের প্রধান কে হবেন এই নিয়ে কার্যত দুই দলে ভাগ হয়ে যান নেপালের যুব সমাজ। বস্তুত বৃহস্পতিবার জেন-জি এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন এই নিয়ে বৈঠকে বসে সেনা। বালেন শাহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দৌড় থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ছাত্র-যুবদের পছন্দের মূলত দুটি নাম সামনে আসে।

   

প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কারকি এবং ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়র কূলমন সিং। এই দুজনের মধ্যে কার দায়িত্বে দেশের শাসনভার তুলে দেওয়া হবে এই নিয়ে সেনা সদর দফতরের বাইরে জেন-জি এর মধ্যেই অশান্তি বেঁধে যায় বলে জানা গিয়েছে। একপক্ষ “সৎ এবং নির্ভীক” প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে চাইলেও অন্যপক্ষ দাবি করে কূলমন ঘিসিং-কে। কূলমন ঘিসিং-এর পক্ষে থাকা জেন-জি’রা দাবি করেন, প্রাক্তন কোনও বিচারপতিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বাধীনতা দেয়না দেশের সংবিধান।

এই নিয়ে এক প্রতিবাদকারী বলেন, “বালেন শাহ অনিচ্ছা প্রকাশ করায় হারক সাপাং-এর উপর ভরসা রাখছেন অনেকে। তবে সুশীলা কারকি বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ায় দেশভক্ত কূলমান ঘিসিং-এর নাম প্রস্তাবিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে”। এদিন ভদ্রকালীতে সেনা সদর দফতরের ভেতরে আলোচনা চলছিল, যেখানে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল এবং জেন-জি প্রতিনিধিরা নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবে এই নিয়ে বৈঠক করছিলেন।

সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করছি। বর্তমান অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করা এবং একই সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর নজর দেওয়া হচ্ছে”। এদিকে, জেন-জি’রা যখন একজন অন্তর্বর্তীকালীন নেতার সন্ধান করছেন, তখন সংসদের বৃহত্তম দল কংগ্রেস জানিয়েছে যে তারা যুবসম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে যেকোনো পরিবর্তন অবশ্যই সাংবিধানিক নিয়ম মেনে করতে হবে বলে সাফ জানিয়েছে নেপাল কংগ্রেস।