আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় (Gaza Strip) প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুখে। যার ফলে লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে বাসস্থানের অভাবে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। IOM-এর মহাপরিচালক এ্যামি পোপ এবং দখলকৃত প্যালেস্টাইন অঞ্চলের মানবিক সমন্বয়কারী মুহান্নাদ হাদি গাজার পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে শুক্রবার এই চিত্র তুলে ধরেন।
গাজার ধ্বংসযজ্ঞের কারণে বিপুল সংখ্যক পরিবার এখন শীতে এবং বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছে। IOM তাদের বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সহায়তাকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে গাজায় জরুরি আশ্রয়, পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য তারা কাজ করে চলেছে।
১৯ জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) গাজার জনগণের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাঠিয়েছে, যার মধ্যে আশ্রয়, পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। IOM-এর মহাপরিচালক এ্যামি পোপ বলেন, “গাজার পরিবারগুলো ঘরে ফিরে এসে কিছুই পায়নি, তাদের আশ্রয়ের জন্য কোনো জায়গা নেই। তারা এখন কঠোর শীত এবং বৃষ্টির মধ্যে বসবাস করছে।”
এছাড়া, সংস্থাটি আরও জানায় যে, গাজার পরিস্থিতি এখন আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সেখানে মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। গাজার জনগণের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য সহায়তা ভীষণভাবে জরুরি।
এই মানবিক বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী সহায়তা প্রদানের অনেক এগিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ, IOM এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি বর্তমানে গাজার মানুষের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা পাঠানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আশা করছেন যে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে গাজার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতি লাভ করবে।
এই সময়েই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজার জন্য সহায়তা বাড়ানোর প্রচার চালানো হচ্ছে , যাতে সেখানে মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করা সম্ভব হয় এবং শীঘ্রই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়।