নতুন বছরের প্রথম দিনে লন্ডভণ্ড জাপানের একাংশ। ৭.৫ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পের পর যে সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল তার প্রথম ঢেউ উপকূলের কয়েকটি এলাকায় ধাক্কা মেরেছে। জাপানি টিভি ও ওয়েব পোর্টালের ব্রেকিং এখুনি পালাও। খালি করো সব। সেসব দেখে পালানোর সময় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের মুখে ওজিমা শহরের বাসিন্দারা।
সোমবার জাপানের পশ্চিম উপকূলরেখায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির ঢেউ জাপানের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। দেশটিতে ৪.০ এর বেশি মাত্রার ২১ টি ভূমিকম্পের পর লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) ইশিকাওয়া, নিগাটা এবং তোয়ামা উপকূলীয় প্রিফেকচারের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। মার্চ ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ভূমিকম্পের পরে আজকের ভূমিকম্প এবং সুনামির বড় সতর্কতা চিহ্নিত করা গিয়েছে।
তোইয়ামা জেলার তোইয়ামা শহরে সন্ধ্যার পরিচয় ৮০ সেন্টিমিটার উঁচু সুনামির আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। নিইগাতা জেলার কাশিওয়াযাকি শহরে সন্ধ্যার পর ৪০ সেন্টিমিটার উঁচু সুনামির আঘাত হয়। জাপান সাগর উপকূলে সুনামি বার বার উপকূলে আঘাত হানতে পারে এবং আরও উঁচু ঢেউ হতে পারে। এইসব এলাকার লোকজনকে অবিলম্বে সরে যেতে বলা হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Prime Minister Fumio Kishida) বিপজ্জনক এলাকার লোকজনকে উচ্চ ভূমিতে “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার” আহ্বান জানিয়েছেন। “আমরা বুঝতে পারছি আপনার বাড়ি, আপনার জিনিসপত্র সবই আপনার কাছে মূল্যবান, কিন্তু আপনার জীবন সবকিছুর উপরে গুরুত্বপূর্ণ! সর্বোচ্চ স্থলে চলে যাও এখুনি।”
অপর দিকে, জাপানের নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটি বলছে, ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের শিকা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর রিঅ্যাক্টরের পাওয়ার ট্রান্সফরমারের কাছে একটি বিস্ফোরণ এবং পোড়া গন্ধ লক্ষ্য করা গেছে। অপারেটর বলছে ট্রান্সফরমার ব্যবহার করে ফাংশন বর্তমানে অনুপলব্ধ।