Pakistan: ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢালল নির্বাচন কমিশন

ভোটেই লড়তে পারবেন না (Imran Khan) ইমরান খান। আগামী পাঁচ বছর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য। এমনই নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) নির্বাচন কমিশন। পাক সংবাদপত্র…

FATF: Pakistan remains on the gray list

ভোটেই লড়তে পারবেন না (Imran Khan) ইমরান খান। আগামী পাঁচ বছর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য। এমনই নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) নির্বাচন কমিশন।

পাক সংবাদপত্র The Express Tribune জানাচ্ছে, ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে কারণ তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নেওয়া উপহারের বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০২০-২১ সালে নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবে উপহারের বিষয়টি উল্লেখ করেননি ইমরান খান এমনই । অভিযোগ।

   

পাক আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা যখন বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার পান সেটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হয়। পরে সেই উপহারের সমতুল্য অর্থ পরিষোধ করে সেগুলো কিনে নিতে পারবেন উক্ত ব্যাক্তি। 

অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহারের বিষয়ে ইমরান খান তথ্য গোপন করেন।

The Dawn জানাচ্ছে, পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকার ইমরান খানের বিরুদ্ধে উপহারের তথ্য গোপনের বিষয়টি সামনে আনে। এরপর নির্বাচন কমিশন ইমরান খানের বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে।

জানা গেছে ইমরান খান স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাওয়া উপহারগুলোর মধ্যে অন্তত চারটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি জানান, বিক্রিত উপহারগুলো তিনি কিনে নেন। গ্রাফ রিস্টওয়াচ, এক জোড়া বোতাম, একটি দামি রিং চারটি রোলেক্স ঘড়ি তিনি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শরিকদের পক্ষ ত্যাগের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানইমরান। আস্থা ভোটে হেরে যান। ক্ষমতায় আসে পিপিপি ও পিএমএলএন সহ বিভিন্ন দলের জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ।

জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের পতনের লক্ষ্যে তিনি লংমার্চের ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন ইমরান খান। এর আগে ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফের ডাকা লং মার্চের জেরে পাকিস্তান ছিল উত্তাল। ইসলামাবাদ ঘেরাও করেছিলেন ইমরান খান। অভিযোগ তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

এর মাঝে গত ২০ আগস্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জেবা চৌধুরীর বিষয়ে মন্তব্য করার পর ওই মামলাটি হয়। সেই মামলায় জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার আশঙ্কায় সেটি কার্যকর করা হয়নি এখনও।