পাকিস্তানের (Pakistan) একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে আঠা তৈরির ওই কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস লিকের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কারখানার আশেপাশের এলাকায় ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়েছে এবং অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই কারখানার কর্মচারী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে উদ্ধারকাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার পরে আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এবং উদ্ধারকারী দল এখন পর্যন্ত মৃতদের দেহ উদ্ধার এবং আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, গ্যাস লিক এবং আগুনের কারণে বিস্ফোরণটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যা নিয়ন্ত্রণে আনা সময়সাপেক্ষ কাজ।
এই দুর্ঘটনা পাকিস্তানের শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা ও শ্রমিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারখানায় সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। আঠা তৈরির কারখানায় রাসায়নিক এবং গ্যাস ব্যবহার হয়, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর না হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতোটাই ভীষণ ছিল যে তারা কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও তা শুনেছেন। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কারখানার আশেপাশের কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক শ্রমিক এবং স্থানীয় মানুষ ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার করতে সাহায্য করেছেন।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা কারখানার মালিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সরকারি তদন্তে যদি নিরাপত্তা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


