রাষ্ট্রপুঞ্জে নেতানিয়াহুর জন্য পড়ে রইল ফাঁকা চেয়ার!

নয়াদিল্লি: বিশ্বমঞ্চে ফের মুখ পুড়ল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu)। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) বৈঠকে নাটকীয়ভাবে তাঁর ভাষণ বয়কট করলেন কূটনীতিকরা। এদিন সাধারণ পারিষদের বার্ষিক…

নয়াদিল্লি: বিশ্বমঞ্চে ফের মুখ পুড়ল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu)। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) বৈঠকে নাটকীয়ভাবে তাঁর ভাষণ বয়কট করলেন কূটনীতিকরা। এদিন সাধারণ পারিষদের বার্ষিক অধিবেশনের (UN General Assembly) প্রথমদিনে নেতানিয়াহু ভাষণ দিতে ওঠার আগেই সকলকে শান্ত থাকতে বলা হয়। মঞ্চে উঠেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গাজার হামাসের বিরুদ্ধে দ্রুত কাজ শেষ করবে ইজরায়েল”।

Advertisements

এই কথার পরেই গণহারে নেতানিয়াহুর ভাষণ থেকে ‘ওয়াক-আউট’ করেন সব আরব দেশের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে ইউরোপ, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। চেয়ারে বসে তখন উল্লাস করতে থাকেন ইজরায়েলের (গুটিকয়েক সমর্থক। নেতানিয়াহু এদিন বলেন, “এমন অনেক নেতা আছেন যারা সামনে আমার নিন্দা করেন, কিন্তু বন্ধ দরজার আড়ালে আমাকে ধন্যবাদ জানান। ইজরায়েলের গোয়েন্দা পরিষেবার ব্যাপক প্রশংশা করেন তাঁরা। ইজরায়েলের (Israel) গোয়েন্দা পরিষেবা ব্যবহার করে তাঁদের রাজধানীর উপর হামলা ব্যহত করেছেন বলেও জানান”।

   

তবে গাজায় গণহত্যার পরেও নেতানিয়াহু যতই আস্ফালন করুন না কেন, গণহারে এই ওয়াক আউট ফের প্রমাণ করে দিল বর্তমানে একমাত্র আমেরিকা ছাড়া ইজরায়েলের পাশে আর কেউ নেই। একদিন আগে, ট্রাম্প প্রশাসন ভিসা না দেওয়ায় প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশ থেকেই ভিডিও বার্তায় সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। তিনি জোর গলায় বলেন, “এত অত্যাচারের পরেও প্যালেস্তাইনের মানুষ গাজা ছেড়ে যাবেন না”। বিশ্বমঞ্চে একঘরে হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় এদিনও পঞ্চমুখ হন নেতানিয়াহু বলে জানা গিয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জে কোণঠাসা নেতানিয়াহু

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত সহ ১৯৫ টি দেশের মধ্যে ১৪২ টি দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জে ফ্রান্স এবং আরব প্রদত্ত দ্বিরাষ্ট্র নীতির প্রস্তাবে সহমতি জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ব্রিটেন, কানাডা সহ অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্যালেস্তাইনকে (Palestine) রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে। গাজায় মৃত্যুমিছিল নিয়ে ভারতে বিরোধীরা মোদী সরকারের স্লথ প্রতিক্রিয়ার বিরোধিতা করলেও চারবার ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার পর দ্বিরাষ্ট্র নীতিতে ভোট দিয়েছে ভারতও।