অত্যাচারী রাজতন্ত্র উপড়ে ফেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র পথের বিদ্রোহে বারবার আলোচিত হয় (Nepal) নেপাল। ঘন ঘন বদলায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ। তবে রাজতন্ত্রের একটি ঐতিহ্য সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় সালামে দুর্গা বরণ রীতি বদলায়নি। নেপালি সেনার (Nepali Army) তরফে দেবী বরণ (Durga puja) হল কাঠমান্ডুর তুন্ডিখেল ময়দানে।
নেপালে শুরু বিখ্যাত বড়া দাসিন (Dashain) উৎসব।দাসিন উৎসব দশ দিনের। নেপালের দুর্গা বরণ অভিনব। এটি দাসিন নামে পরিচিত।বিশ্বে একমাত্র এ দেশেই দুর্গা বরণ হয় সামরিক অভিবাদনে।রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে দেবী দুর্গাকে রাষ্ট্রীয় সালাম দেয় নেপালি আর্মি। উৎসবের সপ্তম দিনে হয় ফুলপাতি অনুষ্ঠান।
Nepal Times জানাচ্ছে, প্রতি বছর উৎসব উদযাপনের জন্য গোর্খা দরবার থেকে ফুলপাতি আনা হয় হনুমান ঢোকায়। এরপর নেপালি সেনার তরফে অভিবাদন জানানো হয়।
Kathmandu Post জানাচ্ছে, দাসিনে অংশ নিতে পড়শি ভারত থেকে নেপালিরা দেশে ফিরছে। সমস্ত সীমান্ত চেকপোস্টে চলছে কড়া নজর।
রাজনৈতিক সামাজিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে রাজার শাসন খতম হলেও রাজতন্ত্রের সময় থেকে চলে আসা রীতিতে দুর্গা বরণ হয় নেপালে।
BBC জানিয়েছে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নেপাল। এ দেশের জনগণ হিন্দু রাজতন্ত্র উপড়ে ফেলে গণতন্ত্র রক্ষায় রক্তাক্ত সংগ্রাম করেছেন। চিন ও ভারতের মাঝে নেপাল মূলত পর্যটন শিল্প ভিত্তিক দেশ। তবে নেপাল বারবার রক্তাক্ত রাজনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে। রাজতন্ত্র বনাম গণতন্ত্রের সংঘর্ষে রাাজার শাসন শেষে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। কখনও নেপালি কংগ্রেস কখনও নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি এদেশের ক্ষমতায় বসেছে।