নজরদারি ক্যামেরার সামনেই বাংলাদেশে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনা। পরে হামলার প্রমাণ নষ্ট করতে নজরদারি ক্যামেরা লুট করা হল।
বিগত শেখ হাসিনার জমানায় এমন ঘটনা বারবার হয়েছিল। আর গণবিক্ষোভে হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার মুহাম্মদ ইউনূসের অম্তর্বর্তী সরকারের আমলে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস থাকলেও ফের মন্দিরে হামলা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ পালপাড়া কালী মন্দিরে হামলা হয়। মন্দিরে আসন্ন শারদোৎসবের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থলে থাকা একটি নজরদারি ক্যামেরা (আইপি ক্যামেরা) নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
রবিবার রাতে হামলা হয় বলে জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। খবর পেয়ে র্যাব বাহিনীর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘটনাস্থলে যান।
মন্দির কমিটির সভাপতি অমরেশ ঘোষ বলেন, মন্দিরে কার্তিক ও সরস্বতী প্রতিমার মাথা ও হাত ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, বৃষ্টি পড়ছিল। এই সুযোগে কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।
তিনি আরও বলেন, টিন শেড ঘেরা অস্থায়ী এই মন্দিরে প্রতিদিনই পাহারা দেওয়া হয়। কিন্তু লোডশেডিং চলাকালে গিয়ে দেখি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। সামনে দুর্গাপূজা, প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে।সোমবার থেকে রংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।