পাহাড়ে ধস, ৬৫ জন যাত্রী সহ নদীতে ভেসে গেল দুটি বাস

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের বহু জায়গা। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির  হাত থেকে রেহাই পায়নি নেপালও। এবার সেখানেই এমন এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল যারপরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে…

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের বহু জায়গা। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির  হাত থেকে রেহাই পায়নি নেপালও। এবার সেখানেই এমন এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল যারপরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সকলের মধ্যে। নেপালের (Nepal) পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ব্যাপক ধস (Landslide) নামছে। আর এই ধসের কবলে পরেই আজ শুক্রবার ৬৫ জন যাত্রী সহ ভেসে গেল দুটি বাস।

জানা গিয়েছে, চিতওয়ান জেলার সিমলতাল এলাকায় নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়কে ভূমিধসের কবলে পড়ে ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে দুটি বাস ফুলে ওঠা ত্রিশুলি নদীতে ভেসে গেছে। চিতওয়ানের মুখ্য জেলা আধিকারিক ইন্দ্রদেব যাদব দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রদেব যাদব। দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

   

ত্রিশুলি নদীতে প্রবাহিত দুটি বাস দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। জানা গিয়েছে, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গোটা এলাকায়। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নেপাল থেকে প্রচুর পানি ছাড়া হয়েছে, যার প্রভাব ভারতেও দেখা যাচ্ছে।

এরই মধ্যে কাঠমান্ডু থেকে ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। নেপালে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৯০ জন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নেপালে সম্পত্তির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বলা হচ্ছে, বৃষ্টিতে ১২১টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।