মাসে পর মাস কেটে গেলেও ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে রক্তক্ষয় সংঘর্ষ যেন মিটতেই চাইছে না। এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটলো না এবার ইজরায়েল সেনা গাজার উপর বিরাট এয়ার স্ট্রাইক (Air Strike) করে দিল, যে কারণে ফের একবার মৃত্যু হল বহু মানুষের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইকে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনের বলে খবর।
গাজায় আরও একটি বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। হামলার পর ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা হামাসের কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও হামাস পরিচালিত দেইর আল-বালাহর স্কুলে হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ বলে জানিয়েছে। যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর একটা বড় অংশ বাস করছিল দীর্ঘদিন ধরে।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্য গাজার খাদিজা স্কুল কম্পাউন্ডে হামাসের একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী । সেনাবাহিনী বলেছে, ‘হামাস জঙ্গিরা আমাদের সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে লাগাতার। অস্ত্রের ভাণ্ডারও লুট করেছে।’ এদিকে হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল।
দেইর আল-বালাহ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা হাসপাতালের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর জন্য হামাস জঙ্গিদেরই উল্টে দায়ী করেছে। সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস জঙ্গিরা স্কুলগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরী করেছিল। তাই হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, হামাসকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, স্কুল ও হাসপাতালে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস।
এর আগে শনিবার ফিলিস্তিনের সরকারি গণমাধ্যম জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং তাদের মৃতদেহ নাসির মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে।