ট্রাম্পের ‘বম্ব ইরান’ ভিডিও ঘিরে বিতর্ক, পরমাণু আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা চরমে

ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের বিতর্কে। মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি, যেখানে দেখা যায় মার্কিন বি-২…

tata to make i phone in india

ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের বিতর্কে। মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি, যেখানে দেখা যায় মার্কিন বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ইরানে বোমা ফেলছে। সেই ভিডিওর পটভূমিতে বাজছে ১৯৮০-এর দশকের বিতর্কিত গানের প্যারোডি “বম্ব ইরান”, যেটি জনপ্রিয় গান “বারবারা অ্যান”-এর সুরে তৈরি এবং গেয়েছেন ভিন্স ভ্যালিয়েন্টস অ্যান্ড দ্য ভ্যালিয়েন্টস।

উস্কানিমূলক গান ব্যবহার

ভিডিওতে এমন কিছু উস্কানিমূলক গান ব্যবহার করা হয়েছে যার মধ্যে আছে, “ওল’ আঙ্কল স্যামস গেটিং প্রিটি হট, টাইম টু টার্ন ইরান ইনটু আ পার্কিং লট” এবং “মসজিদে গেলাম, পাথর ছুঁড়লাম, আয়াতোল্লাহকে বললাম, তোমাকে পাঠাবো কফিনে!”

   

এই ভিডিও প্রকাশের সময় এমন এক মুহূর্তে এসেছে যখন ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা ফের শুরুর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক মার্কিন-ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে, যেখানে বলা হচ্ছে বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ অংশ নিয়ে ইরানের ফোর্ডো, ইসফাহান ও নাটাঞ্জের ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনায় ১৪টি GBU-57 বাঙ্কার বুস্টার বোমা ফেলেছে। মার্কিন মিসৌরির ঘাঁটি থেকে ১১,৪০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে ৩৭ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন মিশনে অংশ নেয় এই যুদ্ধবিমান।

 ‘রেজিম চেঞ্জ’ চান না donald trumps provocative iran video

এই ঘটনার পরেও ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইরানে ‘রেজিম চেঞ্জ’ চান না। এ বিষয়ে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, “রেজিম চেঞ্জ মানে বিশৃঙ্খলা। আমরা চাই না এত বিশৃঙ্খলা হোক।”

Advertisements

হোয়াইট হাউস এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “ইরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সেখানকার জনগণ। রেজিম চেঞ্জ মার্কিন লক্ষ্য নয়।”

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, “আলোচনাগুলো আশাব্যঞ্জক। এখন সময় এসেছে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তির দিকে এগোনোর।”