পর্ন তারকাকে ঘুষকাণ্ডে মিলল না স্বস্তি, দোষী সাব্যস্ত হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ওয়াশিংটন: স্টর্মিকাণ্ডে অস্বস্তিতে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে নথি জালিয়াতির অভিযোগ থেকে মিলল না রেহাই৷ এই ঘটনায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া…

18 thousand indians identified as illegal migrants in us

ওয়াশিংটন: স্টর্মিকাণ্ডে অস্বস্তিতে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে নথি জালিয়াতির অভিযোগ থেকে মিলল না রেহাই৷ এই ঘটনায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া উচিত বলেই সোমবার জানালেন মার্কিন বিচারক।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েল্‌সকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প৷ এই সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন হবু প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত৷ এদিন হতে আর মাত্র এক মাস রয়েছে৷ তার পরেই ফের মার্কিন মসনদে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে আদালতে ধাক্কা খেতে হল তাঁকে৷ 

   

ট্রাম্পের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, আর কিছু দিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প৷ সেই সময় তিনি মামলার জালে জড়িয়ে থাকলে, শাসন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ট্রাম্পের আইজীবী আরও দাবি করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের সম্প্রতিক রায়ের পর ট্রাম্পকে আর দোষী সাব্যস্ত করা যায় না৷ তবে ৪১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক হুয়ান মারচান বলেন, ‘ব্যবসায়িক নথি জাল করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের কোনও ঝুঁকি তৈরি করে না।’ 

প্রসঙ্গত, পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন ট্রাম্প।  ২০১৭ সালে প্রথম বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প৷ তার আগে থেকেই এই বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের৷ ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন, তখন এই যৌন কেলেঙ্কারি চাপা দিতে পর্ন তারকাকে ঘুষ দেন৷ যাতে তিনি মুখ খিলতে না পারেন৷ 

জানা যায়, প্রথমে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন স্টর্মির হাতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার তুলে দেন৷ পরে কোহেনকে সেই অর্থ মেটান ট্রাম্প৷ আর এই টাকা ফেরত দিতে গিয়েই ব্যবসায়িক নথি জাল করার অভিযোগ ওঠে হবু প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। যদিও আগাগোড়াই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

 

এই মামলায় ম্যানহাটনের ওই আদালত আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে৷ এদিন তাঁর আইনজীবী মামলা খারিজ করানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ তবে তাঁর কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি৷