হামাসের বন্দীমুক্তি শুরু, তেল আভিভে ডোনাল্ড ট্রাম্প

তেল আভিভ: অবশেষে দীর্ঘ-দু বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে মধ্যপ্রাচ্যে উঠল শান্তির নতুন সূর্য। সোমবার যুদ্ধ-বন্দীমুক্তি শুরু করল হামাস (Hamas)। নতুন গাজা যুদ্ধবিরতি (Gaza ceasefire)চুক্তির অংশ হিসেবে সোমবার হামাস ২০ জন ইজরায়েলি জীবিত বন্দীকে রেড ক্রসের কাছে মুক্তি দিয়েছে। বন্দীদের দুটি ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisements

প্রথম ধাপে এদিন সকালে ৭ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৩ জন ইজরায়েলিকে (Israel) মুক্তি দিয়েছে হামাস। গাজা শান্তি চুক্তির ভিত্তিতে প্রথম মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন এইটান মোর, গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, ওমরি মিরান, গাই গিলবোয়া দালাল এবং অ্যালন আহেল নামক ৭ ইজরায়েলি।

দ্বিতীয় দফায় মুক্ত হন ইভ্যাটার ডেভিড, অ্যালোন ওহেল, আভিনাথন অর, এরিয়েল কুনিও, ডেভিড কুনিও, নিমরোড কোহেন, বার কুপারস্টেইন, ইয়োসেফ চাইম ওহানা, সেগেভ ক্যালফোন, এলকানা বোহবোট, ম্যাক্সিম হারকিন, ইটান হর্ন এবং রম ব্রাসলাভস্কি নামক এই ১৩ জন। দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পর আজ তাঁরা দেশে ফিরবেন।

অন্যদিকে, মিশরে গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগদানের আগে তেল আভিভে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই ২০ জন জীবিত বন্দীদের মুক্তির প্রেক্ষিতে ১৯০০ প্যালেস্তানীয় বন্দীকে মুক্ত করবে ইজরায়েল।

ট্রাম্পের শান্তি চুক্তি

সোমবার মিশরে গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ইজরায়েলে পদার্পণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন সকালে রওনা হওয়ার আগে তিনি ঘোষণা করেন, “যুদ্ধ শেষ। সবাই বুঝেছেন তো?” হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কেবলমাত্র ‘বিরতি’ নয়, ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য হল তাঁর মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা। এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এই যুদ্ধ বিরতি স্থায়ী হবে। মানুষ ক্লান্ত, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই যুদ্ধ চলছে। এখন সবাই শান্তি চায়”।