ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (৭৯) শরীর নিয়ে ফের চর্চা শুরু। সম্প্রতি একাধিক ছবিতে তাঁর পায়ে ফোলা ও হাতে কালশিটে দাগ ধরা পড়তেই আলোড়ন (Donald Trump Health condition)। জল্পনার জবাব দিল হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্টের শরীরে ধরা পড়েছে ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’, যা এক ধরনের শিরা-সংক্রান্ত রোগ।
কী বলছে হোয়াইট হাউস?
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্টের গোড়ালিতে সামান্য ফোলাভাব দেখা যাওয়ায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। তাতেই ধরা পড়ে দীর্ঘমেয়াদি শিরাজনিত সমস্যা।” তাঁর কথায়, এই সমস্যা বয়স্কদের মধ্যে খুবই সাধারণ, যেখানে শিরাগুলি ঠিকঠাক রক্ত ফেরাতে পারে না।
হাতে দাগ কেন?
ট্রাম্পের হাতের কালশিটে দাগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। লেভিট জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্টের নিয়মিত করমর্দন এবং অ্যাসপিরিন গ্রহণের ফলে হালকা টিস্যু ড্যামেজ হয়েছে। এটা হৃদরোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসারই অংশ।”
চিকিৎসক কী বলছেন?
প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ক্যাপ্টেন শন বারবাবেলা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কোনও গুরুতর অসুস্থতা নেই। হার্ট, কিডনি বা রক্তনালির জটিলতা ধরা পড়েনি। তিনি একেবারে স্বাভাবিক এবং কোনও অস্বস্তিও বোধ করছেন না।
ছবিগুলো কবে ভাইরাল হয়?
জুলাই মাসে নিউ জার্সিতে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ট্রাম্পের পা ফোলা দেখা যায়। এরপর হোয়াইট হাউসে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁর হাতে কালশিটে দাগও স্পষ্ট হয় ক্যামেরাবন্দি ছবিতে।
‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ কী?
এই রোগে পায়ের শিরাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্ত নিচে জমে যায়, ওপরে ফিরতে পারে না। ফলে পায়ে দেখা দেয় নানা উপসর্গ-
* পা ভারী লাগা বা ব্যথা
* গোড়ালি ও পায়ে ফোলাভাব
* চুলকানি, ঝিনঝিনি ভাব
* ত্বকের রঙ বদলানো বা ঘন হয়ে যাওয়া
* অবহেলায় ত্বকে ক্ষতও হতে পারে
চিকিৎসা কী কী?
হালকা ক্ষেত্রে লাইফস্টাইলে বদল: হাঁটা, পা উঁচু করে রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কমপ্রেশন স্টকিংস ব্যবহার
সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এই রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।