মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনায় কিয়েভ “অংশগ্রহণ করবে”। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান তিন বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ করার জন্য তিনি গত বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদা আলাদা ফোন কলে আলোচনা করেন এবং এর পরদিন তিনি এই শান্তি আলোচনা শুরুর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ট্রাম্প জানান, তিনি নিশ্চিত যে রুশ নেতা পুতিন “শান্তি চান”, এবং বলেছিলেন, “যদি তিনি শান্তি না চান, তবে তিনি আমাকে সেটা জানিয়ে দিতেন।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর শান্তি আলোচনার প্রতি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং রাশিয়ার সাথে সংঘাতের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে জানান।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণ শুরু করে। এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। বহু মানুষের জীবন নষ্ট হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ শরণার্থী ইউক্রেন ছেড়ে চলে গেছে। ইউক্রেনের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছে এবং শান্তি স্থাপনে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান যেখানে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই শান্তিপূর্ণ সমাধানে সম্মত হতে পারে। তিনি আশা করেন যে, তার নেতৃত্বে আলোচনা শুরু হলে, ইউক্রেন এবং রাশিয়া অবশেষে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাবে, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। তিনি দাবি করেন যে, পুতিন একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত, এবং তার এই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন পুতিন একেবারে যুদ্ধ থামাতে চান, এবং তাঁকে কখনোই শান্তি সমঝোতার বিষয়ে সরাসরি না বললে, তিনি আলোচনায় পদক্ষেপ নিতেন না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখনও অনেক সমালোচনা থাকলেও, তিনি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি বেশিরভাগ সময় শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার এই শান্তি আলোচনার প্রস্তাব বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি স্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।