মার্কিন মুলুকে প্রথমবার কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্ষমতা দখল করবেন? কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) জনসমর্থন বৃদ্ধির হার দেখা যাচ্ছে দেশটির জনমত সমীক্ষায়। সদ্য ইংল্যান্ডের ক্ষমতা থেকে সরে গেছেন ঋষি সুনাক। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম ভারতীয় বংশজাত প্রধানমন্ত্রী। এবার মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলাকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোড়ন তুঙ্গে।জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের ব্যবধান কমে এসেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনমত জরিপে ব্যবধান কমিয়ে ট্রাম্পের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস। নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জায়গায় ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস অল্প দিনেই প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছাকাছি চলে এসেছেন।
এমারসন কলেজ ও দ্য হিল পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ চারটি রাজ্যে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের ৪৯ শতাংশের বিপরীতে হ্যারিস ৪৪, জর্জিয়ায় ট্রাম্প ৪৮ ও হ্যারিস ৪৬ শতাংশ, মিশিগানে ট্রাম্প ৪৬ ও হ্যারিস ৪৫ এবং পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ৪৮ ও হ্যারিস ৪৬ সমর্থন পেয়েছেন। উইসকনসিনে ট্রাম্প ও হ্যারিস উভয়ই পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ সমর্থন।
আমাকে প্রেসিডেন্ট বানান আর ভোট দিতে হবে না: ট্রাম্প
নিউ ইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা কলেজের জরিপের ফলাফলে কমলা হ্যারিসের চেয়ে মাত্র ২ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
রয়টার্স-ইপসস ন্যাশনাল জরিপে আবার ট্রাম্পের ৪২ শতাংশের বিপরীতে ৪৪ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপে ৪৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কমিয়ে ৪৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন টেনেছেন কমলা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে লাগাতার ‘বামপন্থি ও উন্মাদ’ বলে কটাক্ষ করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দেশকে ধ্বংস করবেন কমলা। আমার বিশ্বাস, কমলার নেতৃত্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখবে পৃথিবী।
এক ফোনেই আপ্লুত কমলা হ্যারিস, এমনকী বললেন বারাক ওবামা-মিশেল?
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চান। তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। ভোট প্রচারে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেছেন, এই নভেম্বরে তাকে ভোট দিলে, চার বছরের মধ্যে তাদের আর ভোট দিতে হবে না। অবশ্য এর মাধ্যমে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।