ভুটানের (Bhutan) ফুন্টশোলিং শহরের তোর্সা আবাসন এলাকায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত বহু আবাস। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে, যখন স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎই দেখতে পান আগুনের শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর প্রায় দুটো নাগাদ তুই তোসা নদীর পাশে অবস্থিত বস্তি এলাকায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন পাশের বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, তবে ততক্ষণে বহু বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ এখনো জানা যায়নি। কেউ কেউ মনে করছেন কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে, আবার অনেকেই সন্দেহ করছেন রান্না বা তাবুতে থাকা আগুন থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত দমকল ও প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সরানোর সময়ই পাননি। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এলাকায় হাহাকার শুরু হয়ে যায়। অনেকেই নিজেদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরতে বাধ্য হন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রাথমিকভাবে কেউ হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। অনেক বাসিন্দার বাসস্থান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।
ভুটানের দমকল বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। তবে এই আগুন নেভাতে তাদের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। একের পর এক বাড়ি ভস্মীভূত হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ছিলেন, অনেকেই দমকল বাহিনীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁদের কাজকে সহজ করে তোলেন। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে এবং জরুরি ত্রাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই অগ্নিকাণ্ডে বহু পরিবার রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দমকল বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।