ডেঙ্গি থেকেই পরবর্তী অতিমারী? কয়েক কোটি মৃত্যুর সতর্কতা WHO-এর

করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা দুনিয়া।  সারা দুনিয়ায় অকালেই ঝরে পড়েছিল হাজারো প্রাণ। বিভিন্ন দেশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়েছে বহু মানুষ। ২০২০ সালের…

Dengue is cause of next pandemic

করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা দুনিয়া।  সারা দুনিয়ায় অকালেই ঝরে পড়েছিল হাজারো প্রাণ। বিভিন্ন দেশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়েছে বহু মানুষ। ২০২০ সালের কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকেই করোনা মহামারীর আবির্ভাব। তবে করোনা বিদায় নিলেও তা অতিমারী চিরকালের জন্য চলে যায়নি। এবার ডেঙ্গি নিয়েই ক্রমেই বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছে অর্ধেক বিশ্ব।

Arijit Singh: এয়াইতে ব্যবহার করা যাবে না অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠ, রায় দিল হাই কোর্ট!

   

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ডেঙ্গি (Dengue) থেকেই পরবর্তী অতিমারী হতে পারে। ডেঙ্গি সংক্রমণ এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর নেপথ্যে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন তাঁরা। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বহু রোগের আবির্ভাব হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন অতিমারী নিয়ে ২০২৩ সালে সতর্ক করেছিল হু। গত কয়েক বছরের তুলনায় এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গি (Dengue) এবং চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। অশোকা ইউনিভার্সিটির গবেষক অঙ্কিত কুমারের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিস মশা জন্মহার আরও বেড়েছে।

হিমাচল প্রদেশে মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি, নিখোঁজ অন্তত ২০

শুধু ভারতেই নয়, আমেরিকা ও ইউরোপের মতো পশ্চিমী দেশগুলিতে যে হারে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে, তা ঘিরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ৮০টি দেশে ১০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে ৫ হাজার মানুষের। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ডেও হু হু বাড়ছে সংক্রমণের হার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর হার।

নেচার মাইক্রোবায়োলজির গবেষণা সূত্রে খবর, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক দেশে ডেঙ্গি সংক্রমণ ঘিরে বিপদ আরও বাড়বে। বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। একদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অন্যদিকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এডিস মশার জন্মহার বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হারিকেন, বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। এই আবহাওয়ায় ডেঙ্গি ঘিরে বাড়ছে বিপদ। তবে এই ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে এখনও যথেষ্ট সচেতনতা গড়ে তোলা যায়নি বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজনে মান্যতা, সংরক্ষণ নিয়ে যুগান্তকারী সুপ্রিম নির্দেশ

করোনা অতিমারী যে আসবে, তাও কিন্তু ২০১৫ সালে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমেরিকা, ইউরোপের মতো বিশ্বের তাবড় দেশগুলি তখন সেই সতর্কতায় কান দেয় নি। কিন্তু তার মাত্র পাঁচ বছর পরই গোটা পরিস্থিতি বদলে যায়। করোনায় প্রকোপে মৃত্যু মিছিলে বিপর্যস্ত হয় গোটা দুনিয়া। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আগামীদিনে আবার আসতে চলেছে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।