মঙ্গলবার কোয়েটার পূর্ব দিকের ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদর দফতরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ (Deadly Blast) ঘটে। স্থানীয় পুলিশের তথ্যানুযায়ী, বিস্ফোরণে অন্তত ৫ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শহরের মডেল টাউন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শোনা যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ ভারী গোলাগুলি শুরু হয়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে রাখে এবং আহতদের উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের পরে আশপাশের বাড়ি ও বাণিজ্যিক স্থাপনার জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।
এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “বিস্ফোরণের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।” আহত এবং নিহতদের কোয়েটা সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে বিএমসি হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সমস্ত ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও প্যারামেডিক জরুরি ডিউটিতে আছেন। তারা আহতদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা দিচ্ছেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ঘটনাস্থলে প্রহরী মোতায়েন করেছে।
এপর্যন্ত কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনার প্রকৃতি খতিয়ে দেখছে এবং আশেপাশের এলাকায় সতর্কতা অবলম্বন করছে। স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের সময় ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদর দফতরে কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তী রিপোর্টে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
এই বিস্ফোরণ পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। প্রশাসনও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কোয়েটার ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদর দফতরের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা গুরুতর নিরাপত্তা সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।