ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড (COVID-19)! লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে কোভিডের (COVID-19) বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। ৫ মে থেকে ১১ মে-র মধ্যে সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৯০০। যা গত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় শনিবার সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং আবারও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩৭০০ জন। কিন্তু মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা ৯০ শতাংশের বৃদ্ধি পেয়ে ২৫৯০০-তে পৌঁছেছে। এতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (এমওএইচ) কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। কী কারণে ঝড়ের গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
এমওএইচ-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ কেসগুলিতে হাসপাতালে ভর্তির গড় হার আগের সপ্তাহে ১৮১ থেকে বেড়ে প্রায় ২৫০ হয়েছে। কোভিডের এই নতুন ঢেউয়ের ওপর কড়া নজর রাখছে মন্ত্রক। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আইসিইউ-র বেডও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অক্সিজের সরবরাহের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
Pakistan: ‘ভারত চাঁদে, আর আমরা…’, দিল্লির উদাহরণ টেনে নিজের দেশের নিন্দায় মুখর পাক সাংসদ!
মন্ত্রকের নির্দেশ, করোনার লক্ষণগুলি মৃদু থাকলেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পরামর্শ নিতে হবে। কোমর্বিডিটি থাকলে সেই সমস্ত রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকলে বয়স্ক ব্যক্তি ও অন্যান্যদের পুনরায় কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং বলেন, যদি আক্রান্তের সংখ্যা আবারও দ্বিগুণ হয়, তাহলে সিঙ্গাপুরে ৫০০ রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। এতে পরিকাঠামোগত সমস্যা খুব একটা হবে না। যদি আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয়বার দ্বিগুণ হয়, সেক্ষেত্রে হসপিটালাইজেশনের সংখ্যা ১০০০-এ পৌঁছতে পারে। এর ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ওপর বেশ চাপ পড়বে বলে জানান তিনি।
আপাতত কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওং। আক্রান্তের সংখ্যা এই হারে বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে জনগণকে মাস্ক পরার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
করোনা থেকে বাঁচতে যা করবেন – ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন, হাত না ধুয়ে আপনার চোখ-নাক-মুখ ছোঁবেন না, যে জিনিসগুলিকে ঘনঘন স্পর্শ করেন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন, হাঁচি-কাশির সময় আপনার হাত ধোবেন এবং মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, মাস্ক ব্যবহার করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবনশৈলী বজায় রাখার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।