China: চিন বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য, বিশেষ করে আমেরিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের দ্বিতীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট প্রথমবারের মতো সেখানে সবচেয়ে বড় এয়ার শোতে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটি এই ইভেন্টের একটি বড় হাইলাইট হবে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার পর চিন বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠবে যার একাধিক পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট থাকবে। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, Shenyang J-35 স্টিলথ ফাইটার একটি টুইন-ইঞ্জিন, একক-সিটার সুপারসনিক জেট। এটি বহুমুখী মিশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর আগে চিন J-20 তৈরি করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের এই স্টিলথ ফাইটারটি একভাবে আমেরিকার F-35-এর অনুলিপি। এর মধ্যে বড় পার্থক্য হল ইঞ্জিন। আমেরিকান স্টিলথ ফাইটারে একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিন আছে, আর চিন ব্যবহার করেছে টুইন ইঞ্জিন। এর আগে, চিনের তৈরি J-20-এর নকশাও আমেরিকার F22-এর মতোই ছিল।
চিন আশা করছে নতুন যুদ্ধবিমান চিনের সক্ষমতা বাড়াবে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিমান দেশের সমন্বিত যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, J-35 বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে। এটি বাতাস থেকে এগিয়ে থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য শত্রুর উচ্চ প্রযুক্তির বিমান ধ্বংস করা এবং স্থল ও আকাশে শত্রুকে নির্মূল করা।
J-35 কোথায় মোতায়েন করা হবে?
চিন এই বিমানটিকে বিমান বাহিনী ছাড়াও নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। চিনের পরিকল্পনা এত সহজ নয়। এই বছরের শুরুর দিকে, ড্রাগন তার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ভারী বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ানের সমুদ্র পরীক্ষা চালায়। এই বিমানের ওজন 80 হাজার টনের বেশি। এটিতে একটি এয়ারক্রাফট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থাও রয়েছে, যা বর্তমানে শুধুমাত্র আমেরিকা ব্যবহার করে।