চিনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো দেখা গেল এই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র

Nuclear Missile: বুধবার চিনের রাজধানী বেইজিং আন্তর্জাতিক সংবাদের সবচেয়ে বড় মঞ্চ হয়ে ওঠে। উপলক্ষটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে…

DF-5C

Nuclear Missile: বুধবার চিনের রাজধানী বেইজিং আন্তর্জাতিক সংবাদের সবচেয়ে বড় মঞ্চ হয়ে ওঠে। উপলক্ষটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বিরাট জাঁকজমকের সাথে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ (Victory Day Parade) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-এর ত্রয়ীকে দেখা গিয়েছিল। মঞ্চে প্রায় ২৫টি দেশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শি জিনপিং মঞ্চ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেন যে চিন কারো হুমকিতে ভীত নয়। এর পরপরই কুচকাওয়াজ শুরু হয় এবং চিন সমগ্র বিশ্বকে তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে। এই কুচকাওয়াজে চিন প্রথমবারের মতো তার পারমাণবিক অস্ত্রের আসল শক্তি প্রদর্শন করে। বিবিসির এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল, YJ-21 অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল, JL-3 সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতো মারাত্মক অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু যে অস্ত্রটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা হল চিনের নতুন DF-5C আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল।

   

DF-5C কেন বিশেষ?
DF-5C ক্ষেপণাস্ত্রটি শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সম্প্রতি এটি প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে। এটি আসলে চিনের পুরনো DF-5 সিরিজের একটি উন্নত সংস্করণ, তবে এর ক্ষমতা অনেক বেশি বিপজ্জনক। সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এর পালা ২০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বলে মনে করা হয়।

এর মানে হল পৃথিবীর এমন কোনও অঞ্চল নেই যেখানে এই ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছাতে পারবে না। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একা আসে না, বরং একসাথে ১০টি ওয়ারহেড বহন করার ক্ষমতা রাখে। এর মানে হল চিন একই সাথে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ১০টি ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে।

Advertisements

বিদ্যুৎ গতি এবং মারাত্মক প্রযুক্তি
গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, DF-5C এর গতিও আশ্চর্যজনক। রিপোর্ট অনুসারে, এটি শব্দের (Mach) গতির কয়েকগুণ বেশি গতিতে উড়ে। এত দ্রুত গতিতে, শত্রুর এটি থামানোর প্রায় কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এতে লাগানো ওয়ারহেডগুলি পারমাণবিক, প্রচলিত বা ডামি (নকল) হতে পারে। এর অর্থ শত্রু আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্যও বুঝতে পারবে না।

শুধু তাই নয়, চিন এতে তার বেইদো নেভিগেশন সিস্টেম স্থাপন করেছে, যার কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। লক্ষ্যবস্তুটি ২০,০০০ কিলোমিটার দূরে হোক বা ২০০ কিলোমিটার দূরে, DF-5C দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে নিকট-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই নির্ভুলতার সাথে আঘাত করতে পারে।