China Stealth Fighter Jet: চিন প্রতিনিয়ত তার সামরিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এখন স্টিলথ ফাইটার প্লেনে এমন উন্নতি করেছে যে আমেরিকাও হতবাক। চিন সম্প্রতি তাদের পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট তৈরি করেছে। এই বিমানগুলি রাডারে দেখা যায় না, যার কারণে বিশ্বব্যাপী তাদের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের কাছেই এই উন্নত স্টিলথ বিমান রয়েছে। একই সময়ে, পাকিস্তানও এই বিমানগুলি কেনার পরিকল্পনা করছে, যখন তুরস্ক শীঘ্রই নিজস্ব স্টিলথ ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট তৈরির কাছাকাছি রয়েছে।
স্টিলথ প্লেনের বড় সমস্যা
স্টিলথ ফাইটার জেটের বিশেষত্ব হল এগুলো রাডার দ্বারা সনাক্ত করা যায় না, তবে সময়ের সাথে সাথে তাদের আবরণ ক্ষয় হতে থাকে। এই বিশেষ আবরণ তাদের কম দৃশ্যমান করে তোলে। কিন্তু দ্রুতগতি, উচ্চ তাপমাত্রা ও ধূলিকণার কারণে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। আমেরিকার F-22 এবং F-35-এর মতো স্টিলথ বিমানে এই সমস্যা দেখা গেছে। এই বিমানগুলির আবরণ ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হয়, যার কারণে তাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক বেশি হয়ে যায়। একটি হিসেব অনুযায়ী, স্টিলথ আবরণ বজায় রাখতে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হয় আমেরিকাকে।
চিন কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করেছে?
চিন তার ঐতিহ্যবাহী সিল্ক বুনন প্রযুক্তি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করেছে। চিনে এই প্রযুক্তি 3000 বছরের পুরনো। এটি হান রাজবংশের সময় প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। এই রেশম বয়ন পদ্ধতি অবলম্বন করে, চিনা বিজ্ঞানীরা একটি উপাদান প্রস্তুত করেছেন যা রাডার সংকেত আরও কার্যকরভাবে শোষণ করতে পারে।
নতুন স্টিলথ কোটিং কিভাবে কাজ করবে?
চিনের নতুন আবরণ প্রযুক্তি ঐতিহ্যগত স্টিলথ আবরণের চেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (সিএএসআইসি) এবং তিয়ানগং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ থ্রেড তৈরি করেছেন যা 8-26Gz পর্যন্ত রাডার তরঙ্গের 90.6% শোষণ করতে পারে। এর ফলে স্টিলথ বিমানের রাডার থেকে লুকিয়ে রাখার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের নিরাপত্তাও শক্তিশালী হবে।
চিনের নতুন প্রযুক্তি তার সামরিক শক্তি বাড়াবে
চিনের এই নতুন প্রযুক্তি সফল হলে তার স্টিলথ এয়ারক্রাফট আমেরিকার চেয়েও উন্নত হতে পারে। এতে তার সামরিক শক্তি আরও বাড়বে। পাকিস্তানও চিনের কাছ থেকে এই ধরনের বিমান কেনার পরিকল্পনা করছে, যখন তুরস্ক তার নিজস্ব স্টিলথ জেট তৈরির চেষ্টা করছে।