Pakistan: পাক-পরমাণু বোমা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস পাক-বিজ্ঞানীর

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন সেখানকার এক পরমাণু বিজ্ঞানী। এর সঙ্গে চিনের নামও নেওয়া হয়েছে।

pakistan-scientist-pervez-hoodbhoy

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন সেখানকার এক পরমাণু বিজ্ঞানী। এর সঙ্গে চিনের নামও নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক পারভেজ হুদভয় (Pakistan Scientist Pervez Hoodbhoy) জানিয়েছেন, পাকিস্তানের তৈরি পারমাণবিক বোমার নকশা এসেছে চিন থেকে।

পারভেজ হুদাবয় পাকিস্তানের সাংবাদিক আহসান বিলাল বাজওয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, চিনের নকশা থেকে পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন আমেরিকা পাকিস্তানের একটি জাহাজ ধরেছিল এবং সেই সময় বোটে বোমার নকশা উপস্থিত ছিল। 

পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী পারভেজ হুদভয় বলেন, ‘১৯৬২ সালে চিন এই নকশা পরীক্ষা করেছিল। আমি এটি একটি দাবির সাথে বলতে পারি, কারণ ২০০৩ সালে আমেরিকা একটি সামুদ্রিক জাহাজ ধরেছিল, যাতে সেন্ট্রিফিউজের কিছু অংশ ছিল। পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির জনক ডক্টর আব্দুল কাদির খান মালয়েশিয়া থেকে লিবিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেই জাহাজ আমেরিকার হাতে ধরা পড়ে এবং পারমাণবিক বোমার নকশা প্রকাশ পায়।

পারভেজ হুদভয় বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ সত্য, কারণ জাহাজ থেকে উদ্ধারকৃত নকশাটি চিনা ভাষায় লেখা ছিল। আমেরিকাও এই জিনিসটা জানে এবং এটাও বলতে পারে। নকশাটি ছিল পারমাণবিক বোমার একটি ব্লু প্রিন্ট এবং এতে বোমার অংশগুলি দেখানো হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৯৯৫ সালে নিজেই জানতে পারি যে চিন পাকিস্তানকে পারমাণবিক বোমার নকশা দিচ্ছে।’

ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইয়ুব খান ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন এবং ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজের পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে আইয়ুব খান বলেছিলেন, ‘ভারত বোমা বানায়, আমরা ঘাস বা পাতা খাব, আমরাও ক্ষুধার্ত ঘুমাব, কিন্তু আমরা অবশ্যই নিজেদের বোমা বানাব। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সফলতা পায়, যার নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ আব্দুল কাদির খান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পর আজ প্রায় ১৬৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।