ওয়াশিংটন: ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার হলেন চার্লি কার্কের (Charlie Kirk) আততায়ী। বুধবার ‘প্রুভ মি রং’ বিতর্কসভার মাঝে স্ত্রি-সন্তানের সামনেই শার্প শুটারের গুলিতে মারা যান কনজারভেটিভ সমাজকর্মী চার্লি কার্ক। ঘটনার পরেই এক বৃদ্ধকে আটক করেছিল এফবিআই। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোঝা যায় তিনি নির্দোষ। এরপর “দেশজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে আততায়ীকে” গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
সেইসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বলেন, “মনে হয় কার্কের ঘনিষ্ঠ কেউ এই কাজ করেছে”। এর আগে ফুলহাতা কালো টি শার্ট এবং মাথায় টুপি পরা এক যুবকের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি প্রকাশ্যে আসে। ওই যুবককেই কার্কের (Charlie Kirk) শুটার হিসেবে সন্দেহ হয় এফবিআই-এর। গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ওই যুবককে দেখে কলেজছাত্র বলেই মনে হচ্ছিল।
প্রায় ৩০০০ মানুষের ভিড়ে দিব্যি মিশে গিয়েছিল ওই আততায়ী। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলা বন্ধ করতে হলে স্কুল, কলেজ পড়ুয়াদের হাতে বন্দুক তুলে দেওয়ার কথা বলতেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ চার্লি। আর বুধবার “প্রুভ মি রং”-এর ভরা সভায় সেই বন্দুকবাজের গুলিতেই মারা গেলেন বছর ৩১-এর চার্লি।
ওইদিনও ইউটা কলেজের বিতর্ক সভায় স্বমহিমায় আগ্নেয়াস্ত্রের সমর্থনেই কথা বলছিলেন কার্ক (Charlie Kirk)। আচমকা দূর থেকে গুলি এসে লাগে তাঁর গলার কাছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে, শরীরটা চেয়ারের উপর বসে থাকা অবস্থাতেই কাত হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কার্কের মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেইসঙ্গে কার্ককে মরণোত্তর ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডাম’ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বস্তুত, ট্রাম্পকে জেতানোর পেছনে কার্কের বিশেষ অবদান রয়েছে বলেই মনে করেন অনেকে। তাঁর “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন” প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন কার্ক। তবে আমেরিকায় তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। একাংশ মনে করত কার্ক সমাজসেবক। আরেক অংশ মনে করত তিনি স্কুল, কলেজে গিয়ে যুবসমাজের মধ্যে ঘৃণার বীজ বপন করেন।